বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোহরাওয়ার্দীতে আপাতত গাছ কাটা নয়: হাইকোর্ট

  •    
  • ১১ মে, ২০২১ ১২:৫২

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল সময় আবেদন করলে আদালত ২০ মে শুনানির দিন ঠিক করে। এ সময় পর্যন্ত গাছ যাতে না কাটে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে ব্যবস্থা নিতে মৌখিক নির্দেশ দেয় আদালত।

নির্দেশ অমান্য করে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটায় আদালত অবমাননার অভিযোগে করা মামলার শুনানির জন্য ২০ মে দিন ঠিক করেছে হাইকোর্ট। শুনানি না হওয়া পর্যন্ত উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধ রাখতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে পদক্ষেপ নিতে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল সময় আবেদন করলে আদালত ২০ মে দিন ঠিক করে দেয়। এ সময় পর্যন্ত উদ্যানের গাছ যাতে না কাটে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে ব্যবস্থা নিতে মৌখিক নির্দেশ দেয় আদালত।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটায় আদালত অবমাননার অভিযোগে ৮ মে হাইকোর্টে আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

আবেদনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী শামিম আখতার ও চিফ অর্কিটেক্ট অফ বাংলাদেশ মীর মনজুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।

এ ছাড়া আবেদনে গাছ কাটা বন্ধের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, নির্মাণ কাজ কেন বন্ধ করা হবে না এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংরক্ষণে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার প্রতিবেদন দেয়ারও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

৬ মে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

নোটিশে বলা হয়েছিল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে ২০০৯ সালে করা রিটের প্রেক্ষিতে তৎকালীণ বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ উদ্যান সংরক্ষণে কয়েকদফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

সেই রায়ে বলা হয়, রমনা তথা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা নিছক একটি এলাকা নয়। এই এলাকাটি ঢাকা শহর পত্তনের সময় হতে এ পর্যন্ত একটি বিশেষ এলাকা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এর একটি ঐতিহাসিক ও পরিবেশগত ঐহিত্য আছে।

‘শুধু তাই নয়, আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা আন্দোলনের কেন্দ্র এই এলাকা। এই পরিপ্রেক্ষিতেও সম্পূর্ণ এলাকাটি একটি বিশেষ এলাকা হিসাবে সংরক্ষণের দাবি রাখে। এখানে এমন কোনো স্থাপনা থাকা উচিত নয় যা এই এলাকার ইতিহাস-ঐহিত্যকে ম্লান করে। পরিবেশগত দিক থেকে তা আরও উচিত নয়। কারণ রমনার উদ্যান বা রমনা রেসকোর্স ময়দান ঢাকা শহরের দেহে ফুসফুসের মতো অবস্থান করছে। কোনোভাবেই একে রোগাক্রান্ত করা যায় না।’

রায়ে আরও বলা হয়, যেহেতু স্মরণকাল থেকেই এটি উদ্যান হিসেবে পরিচিত, সেহেতু ২০০০ সালের ৩৬ নং আইন অনুসারে সোহরাওয়ার্দী ‘উদ্যান’ সংজ্ঞার আওতাধীন এবং এই জায়গার শ্রেণি সাধারণভাবে অপরিবর্তনীয়। একে অনাবশ্যক স্থাপন দিয়ে ভারাক্রান্ত করা অবৈধ হবে।’

আইনজীবী নোটিশে বলেন, আদালতের রায় উপেক্ষা করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মধ্যে ব্যবসায়িক স্বার্থে রেস্টুরেন্ট-দোকান প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবেশ ধংস করে অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। যা রায়ের পরিপন্থি।

আইনজীবী নোটিশে বলেন, আদালতের রায় উপেক্ষা করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মধ্যে ব্যবসায়িক স্বার্থে রেষ্টুরেন্ট/দোকান প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবেশ ধংস করে অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। যা রায়ের সম্পুর্ন পরিপন্থি।

এ বিভাগের আরো খবর