বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোহরাওয়ার্দীর পরিকল্পনা স্পষ্ট করল সরকার

  •    
  • ১১ মে, ২০২১ ১২:০১

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসবেন, তাদের কথা মাথায় রেখেই টয়লেট ও ফুড কিয়স্কের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। আমরা শুধু গাছ নিধনই করছি না৷ আমরা এর ১০ গুণ বেশি গাছ রোপণ করব।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রেস্টুরেন্ট হবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আদলে উদ্যানটি সাজাতে ও পর্যটকদের সুবিধার জন্য সাতটি ছোট ফুড কিয়স্ক ও টয়লেট নির্মাণ করা হবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘উদ্যানকে আমরা উদ্যানই রাখছি, শুধু তা আন্তর্জাতিক আদলে সাজাচ্ছি। আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বিশ্বের সামনে তুলে ধরতেই এই পরিকল্পনা নিয়েছি।

‘আমাদের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসবেন, তাদের কথা মাথায় রেখেই টয়লেট ও ফুড কিয়স্কের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। আমরা শুধু গাছ নিধনই করছি না৷ আমরা এর ১০ গুণ বেশি গাছ রোপণ করব।’

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই পরিকল্পনার বিষয়টি আগেই গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশের সবাইকে অবহিত করা হলে এই ভুল-বোঝাবুঝি হতো না। দেরি হলেও আজ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের পরিকল্পনা তুলে ধরছি। আশা করি, যারা সমালোচনা করছেন, তারাও আমারদের পরিকল্পনাকে সমর্থন করবেন।’

তিনি বলেন, ‘৫০টি গাছ কাটা হয়েছে, আরও সর্বোচ্চ ৫০টি গাছ কাটা হবে। তবু আমরা আবারও রিভিউ করে দেখব, গাছ কাটার পরিমাণ আরও কমানো যায় কিনা।’

মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু ওয়াকওয়ের জন্যই গাছ কাটা পড়ছে কি না, সেটিও যাচাই করা হবে। সেখানে কোনো অবহেলা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটার প্রতিবাদ করছেন এক যুবক। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম স্থান ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নতুন করে সাজাতে একটি মহাপরিকল্পনার কথা জানায় সরকার। সেই পরিকল্পনায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে।

এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ২৩ বছরের মুক্তিসংগ্রাম ও ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-সংবলিত ভাস্কর্য, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানে ভাস্কর্য, ইন্দিরা মঞ্চ, জলাশয় ও ফোয়ারা, ভূগর্ভস্থ ৫০০ গাড়ির পার্কিং ও শিশুপার্ক। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য পুরো উদ্যানজুড়ে সাতটি ফুড কোর্ট ও টয়লেট নির্মাণ করা হবে। আর মনোরম পরিবেশের জন্য বানানো হবে নান্দনিক ওয়াকওয়ে।

প্রকল্প বাস্তবায়নে শুরু হয় উদ্যানের পুরাতন কিছু গাছ কাটা। এরপরই গাছ কাটার প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন অনেকেই। করতে থাকেন প্রতিবাদ।

প্রতিবাদে বেশ কয়েকজন এরই মধ্যে উদ্যানে গাছ কাটা বন্ধে গাছের নামকরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে।

সেই সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবেশ সংরক্ষণে আদালতের দেয়া আদেশ অবমাননা করার অভিযোগ এনে মামলার আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। যার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে ২০ মে। এর মধ্যে যেন উদ্যানের গাছ কাটা না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ বিভাগের আরো খবর