ঈদের আগে প্রতিটি ঘাটে উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে যাত্রী নিয়ে ফেরি চলাচলের অনুমতি দেয়ার কিছুক্ষণ পরই আবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাটের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জিল্লুর রহমান সোমবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে নির্দেশ এসেছিল যাত্রী নিয়ে সবগুলো ফেরি চলবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবার জানানো হয়, আগের মতোই জরুরি প্রয়োজনে সন্ধ্যার পর থেকে ফেরি চলবে। তবে বাড়ানো হয়েছে দুইটি ফেরি। জরুরি প্রয়োজনে আরও ফেরি বাড়ানো হতে পারে।’
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ তাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দিনের বেলা ফেরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বলবৎ আছে। তবে দিনের বেলা আমাদের জরুরি সার্ভিস রোগী আর অ্যাম্বুলেন্স পার করা, সেটা ২৪ ঘণ্টা চালু আছে। বর্তমানে জরুরি সার্ভিস আরও দুটি বাড়িয়েছি।’
জরুরি সেবার ফেরিতে সাধারণ মানুষের উঠার নিয়ম না থাকলে, সাধারণ মানুষ তা মানছেন না বলে জানান সৈয়দ তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের জন্য একটি ফেরি আসলে সাধারণ মানুষ হুড়মুড় করে উঠে পড়ছে। আমরা বিজিবি আর ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছি। ওরা প্রাইভেট কারও ফেরত দিচ্ছেন। এখন প্রাইভেট কার নেই বললেই চলে।’
তবে বিকেলের দিকে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে দিনের বেলা ফেরি খুলে দেয়ার খবর আসে। বিষয়টি নিয়ে সরকারি সংস্থাটির চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি ভুল। এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। দিনের বেলা ফেরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বলবৎ আছে।’
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, দিনের বেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী ঘাট কর্তৃপক্ষ ফেরি ছাড়তে পারবে। দিনেও ফেরিতে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ এপ্রিল থেকে চলমান লকডাউন কয়েক দফা বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ৬ মে থেকে শহরগুলোতে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেয়া হলেও বন্ধ রয়েছে আন্তজেলা বাস, ট্রেন ও লঞ্চ। শুধু পণ্য পরিবহনের জন্য চালু রাখা হয়েছিল ফেরি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শুক্রবার রাতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, শনিবার থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। রাতে শুধু পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলবে।
এরপর শনিবার বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান ঘোষণা দেন, ফেরিতে যাত্রী পারাপার ঠেকাতে ঘাটে থাকবে তাদের টহল দল।