বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ঈদযাত্রা আত্মহত্যার শামিল’

  •    
  • ১০ মে, ২০২১ ১৭:৫৪

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষ লকডাউনের সামান্য শিথিলতার সুযোগ নিয়ে দলবেঁধে গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা না করে যেভাবে ফেরি পারাপারসহ এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত করছে, তা একেবারে সুইসাইড সিদ্ধান্তের শামিল।’

করোনা মহামারি ঠেকাতে সরকারের দেয়া লকডাউন উপেক্ষা করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যারা ঈদে বাড়ি ফিরছেন, তারা সবাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষ লকডাউনের সামান্য শিথিলতার সুযোগ নিয়ে দলবেঁধে গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা না করে যেভাবে ফেরি পারাপারসহ এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত করছেন, তা একেবারে সুইসাইড সিদ্ধান্তের শামিল।’

সোমবার দুপুরে দেশের চারটি সীমান্ত এলাকার বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্টটি এখন নেপালে ছড়িয়ে সেখানে ভয়াবহতা সৃষ্টি করেছে। এই ভ্যারিয়েন্ট এখন আমাদের দেশেও চলে এসেছে। এই রকম ক্রিটিক্যাল সময়ে এই ভাইরাস দেহে নিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ যদি গ্রামে চলে যায়, তাহলে গ্রামে থাকা পরিবার পরিজনসহ গ্রামবাসী গণহারে আক্রান্ত হতে পারে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শহরাঞ্চলেও মানুষ এখন বেপরোয়া চলাফেরা করছেন। ঢাকাসহ দেশের বিভাগীয় শহরে শপিং মলসহ বিভিন্ন যানবাহনে গাদাগাদি করে মানুষ চলাফেরা করছেন। এভাবে চলতে দিলে ঈদের পর দেশে ভারত, নেপালের মতো ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।’

সীমান্ত এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার নির্দেশ

করোনাভাইরাসের ‘ভারত ভ্যারিয়েন্টের’ সংক্রমণ রোধে সীমান্ত এলাকায় আন্তজেলা পরিবহন যেন একেবারে বন্ধ থাকে এবং এক জেলার গাড়ি যেন অন্য জেলায় যেতে না পারে সেটি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

গত ১৫ দিনে সীমান্ত দিয়ে যারা ভারতে যাতায়াত করেছেন তাদের তালিকা চেয়ে, ওইসব এলাকায় ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা চালানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় ভারতে যাতায়াতকারী ব্যক্তির পরিবারসহ সকল মানুষকে দ্রুত ও বাধ্যতামূলক কোভিড পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে। বর্ডার এলাকার কোনো যানবাহন নিজ জেলার বাইরে যেন না যেতে পারে, সে ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

আলোচনা সভায় সীমান্ত এলাকার চারটি বিভাগ রংপুর, সিলেট, খুলনা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, সীমান্তঘেঁষা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ অন্য কর্মকর্তাদের ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে সার্বিক নির্দেশনা দেন ও মতামত শোনেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এ সময় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জানান, ‘খুলনা বিভাগীয় এলাকায় বর্তমানে ২ হাজার ৭০০ জন ভারত যাতায়াতকারী ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। তাদের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ভারত থেকে বন্দর দিয়ে প্রবেশ করা ট্রাকচালক, হেলপারদের কোনোভাবেই মুভমেন্ট করতে দেয়া হচ্ছে না। কঠোরভাবে তাদের আইসোলেশন ব্যবস্থায় জোর দেয়া হয়েছে।’

সভায় দেশ থেকে ভারতে যাওয়া চালক-হেলপারদেরও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এবং খুলনা, চট্টগ্রাম, রংপুর ও সিলেট বিভাগের রেঞ্জ ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরো খবর