২০১৩ সালের রমনা থানায় করা নাশকতার মামলায় হেফাজতে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুফতি বশির উল্লাহকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুইদিনের রিমান্ড শেষে বশির উল্লাহকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বশির উল্লাহকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে ডিবি পুলিশ।
এ সময় আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম ইয়াসমিন আরা এ আদেশ দেন।
গত ৬ মে বশির উল্লাহকে দুইদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল ঢাকার সিএমএম আদালত।
গত ১৩ এপ্রিল রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় লন্ডন মার্কেট এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা মুফতি বশির উল্লাহ গত ২৮ মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতালে নেতৃত্ব দেন।
তবে তিনি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন। হরতালে সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগে পুলিশের করা আলাদা পাঁচটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে সোমবার হেফাজতের আরেক নেতা বিলুপ্ত ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিবীর আগে দেয়া একদিনের রিমান্ডের আবেদনে অনুমোদন দেয় আদালত। সাম্প্রতিক নাশকতা এবং হেফাজতের পুরোনো মামলায় জুনায়েদ আল হাবিবীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, তার আগে অনুমোদন করা একদিনের রিমান্ড বাকি ছিল। এজন্য পুলিশ একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করে।