যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ছয়জন ভারতফেরত।
তাদের আদালতে তোলার পর বিচারক জামিন দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে তাদের ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ তাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শনিবার প্রতিবেদন দেয়ার পর আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। মামলায় অভিযুক্ত আরও তিনজন চিকিৎসাধীন থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।
গ্রেপ্তার সাতজন হলেন যশোরের পশ্চিম বারান্দিপাড়া এলাকার মণিমালা দত্ত, সাতক্ষীরার প্রতাপপাড়া গ্রামের মিলন হোসেন, রাজবাড়ীর রামকান্তপুর গ্রামের নাসিমা আক্তার, খুলনার বিবেকানন্দ, পাইকগাছার আমিরুল সানা, রূপসা উপজেলার সোহেল সরদার এবং যশোরের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা।
অভিযুক্ত ভারতফেরত সাতক্ষীরার শেফালী রানী সরদার, যশোরের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের রুমা ও ওয়াপদা গ্যারেজ এলাকার প্রদীপ বিশ্বাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
যশোর পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার (এএসপি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, করোনা ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে যাওয়া ওই রোগীদের বিরুদ্ধে গত শনিবার যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ২০১৮ সালের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনে প্রতিবেদন জমা দেয়।
আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় সোমবার সকালে তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালত তাদের জামিন দেয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার নিউজবাংলাকে বলেন, এপ্রিলের ১৮ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে ভারতফেরত সাতজন ও স্থানীয় তিনজন করোনা পজিটিভ রোগী যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হলে তারা পালিয়ে যান।
‘এ খবর আলোচনা সৃষ্টি করে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে জানায়। পুলিশ পালিয়ে যাওয়া রোগীদের শনাক্ত ও তাদের স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে ফের যশোর হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে।’