বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের জোট নিয়ে ঢাকাকে চীনের ‘হুমকি’

  •    
  • ১০ মে, ২০২১ ১৫:১৫

বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘‌চীন মনে করে কোয়াড গ্রুপটি চীনবিরোধী। আমি এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই, কোয়াড নিজেকে অর্থনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত বলে দাবি করলেও তা সত্য নয়।...এই চার সদস্যের ক্লাবে যোগ দিলে এটি বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে না। কারণ এর ফলে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সামরিক জোট কোয়াডে যোগ দিলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে বলে হুমকি দিয়েছে চীন। সম্প্রতি ঢাকা সফরে এসে এমন বার্তাই দিয়ে গেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি।

সোমবার কূটনীতি বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাব-এর এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে কোনো রাখঢাক না রেখেই বিষয়টি জানিয়ে দেন বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি নিজেও জানান, যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের জোটে যোগ দিলে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক অবনতি হবে।

চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও দেশটির স্টেট কাউন্সিলর ওয়েই ফেঙ্গহি ২৭ এপ্রিল একদিনের জন্য ঢাকা সফরে আসেন। এ সময় তিনি জানান, কোয়াডকে তারা চীনবিরোধী জোট বলে মনে করেন। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ভূমিকা নিয়েও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে কথা হয় তার।

রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘‌চীন মনে করে কোয়াড গ্রুপটি চীনবিরোধী। আমি এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই, কোয়াড নিজেকে অর্থনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত বলে দাবি করলেও তা সত্য নয়। এটা একটি সামরিক জোট এবং মূলত এটা করা হয়েছে চীনের বিরোধিতার জন্য।

‘এই চার সদস্যের ক্লাবে যোগ দিলে এটি বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে না। কারণ এর ফলে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

২৭ এপ্রিল চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঢাকা সফরে আসার আগে মার্চে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর ও এপ্রিলে ভারতের সেনাপ্রধান ঢাকা সফর করেন।

জয়শংকর ঢাকায় এসে বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক সংযুক্তির অর্থাৎ ওই সাগর সন্নিবেশিত ৯টি দেশে চীনের উপস্থিতি কমানোর প্রতি ইঙ্গিত করেন।

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে নৌ চলাচল ‘অবাধ ও স্বাধীন’ রাখার উপায় খোঁজার যুক্তি দেখিয়ে ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে ‘কোয়াড’ (কোয়াড্রল্যাটারাল সিকিওরিটি ডায়ালগ) সংলাপের সূচনা হয়।

ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। জানান, মিয়ানমারে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হওয়ায় এ বিষয়ে এখন বাংলাদেশের ধৈর্য ধরা ছাড়া অন্যকোনো উপায় নেই।

‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ এখনই সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশও যোগাযোগ করতে পারছে না। পরিস্থিতি উন্নতির কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না৷ আমাদের ধৈর্য ধরা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যাবাসনে দ্রুত আমরা কোনো ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা দেখছি না।’

করোনাভাইরাসের টিকা প্রসঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, তার দেশ বাংলাদেশকে চীন সিনোভ্যাকের টিকা দেয়ার প্রস্তাব দিলেও ঢাকা এ টিকা পেতে এখনও অনুমতি দেয়নি। বাংলাদেশ শুধুমাত্র সিনোফার্মকে অনুমোদন দিয়েছে, তাই শিগগিরই সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন পায়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি বলেন, ‘জি টু জি কিংবা বাণিজ্যকভাবে চীন বাংলাদেশকে টিকা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু শুধুমাত্র সিনোফার্ম কোম্পানিকে বাংলাদেশ সরকার জরুরি অনুমতি দেয়ায় লম্বা সিরিয়ালের জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাও এ সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশ সময় নিয়েছে তিন মাস। ফলে এখন দ্রুত টিকা পাওয়ার সিরিয়ালে সামনে আসতে পারেনি বাংলাদেশ।’

তিস্তা ‘রিভার কম্প্রিহেন্সিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশেন’ প্রজেক্টে চীনের ঋণ প্রস্তাব নিয়ে লি জিমিং জানান, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। ‘ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিজ’ এর রেজাল্ট পেলে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে। তার মতে তিস্তা নিয়ে যেকোনো প্রকল্প করা বাংলাদেশের জনগণের অধিকার।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব প্রেসিডেন্ট পান্থ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন।

এ বিভাগের আরো খবর