কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে রফিকুলকে মুখ্য মহানগর আদালত (সিএমএম) হাজির করা হলে শুনানি শেষে বিচারক নিভানা খায়ের জেসি এই আদেশ দেন। এ সময় রফিকুলের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না ।
গত ২৫ ও ২৬ মার্চ মোদিবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীতে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা এবং সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে রফিকুলকে আদালতে তোলা হয়।
এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি মামলায় কয়েক দফা রিমান্ডে নেয়া হয় রফিকুলকে।
২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের আগের দিন রাজধানীর মতিঝিলে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মিছিলে যোগ দেন রফিকুল। ওই সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় তাকে আটক করে পুলিশ। ছয় ঘণ্টা পর তাকে ছেড়েও দেয়া হয়।
শর্ত ছিল উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আর কোনো ওয়াজ করবেন না রফিকুল। কিন্তু কথা রাখেননি তিনি।
৭ এপ্রিল রফিকুলকে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করে র্যাবের একটি দল। পরদিন গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলায় তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এরপর ঢাকার মতিঝিল থানায়ও রফিকুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা করেন আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি। একই আইনে গাজীপুরে আরও একটি মামলা হয়। মোদির সফরের আগের দিন মতিঝিল এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা মামলারও অন্যতম আসামি রফিকুল। সবগুলো মামলাতেই রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে।
তিন দফা রিমান্ড খেটে আসা আসা হেফাজত নেতা মামুনুল হককেও এদিন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় একই আদালত।