বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিমান্ড শেষে কারাগারে হেফাজত নেতা মামুনুল

  •    
  • ১০ মে, ২০২১ ১৩:০৫

মামুনুলকে আদালতে উপস্থিত করা উপলক্ষে আদালতের আশপাশের এলাকা ঘিরে কড়া অবস্থান নেয় পুলিশের কয়েকশ সদস্য। সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

তিন দফায় ১৯ দিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে মামুনুলকে মুখ্য মহানগর আদালত (সিএমএম) হাজির করা হলে শুনানি শেষে বিচারক নিভানা খায়ের জেসি এই আদেশ দেন।

আসামি পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। এই আবেদন আমলে নেননি বিচারক।

মামুনুলকে আদালতে উপস্থিত করা উপলক্ষে আদালতের আশপাশের এলাকা ঘিরে কড়া অবস্থান নেয় পুলিশের কয়েকশ সদস্য। সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

সাড়ে ১২টার দিকে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাসে করে মামুনুলকে এনে প্রথমে সিএমএম আদালতের গারদখানায় রাখা হয়ে। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এজলাসে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ মার্চ রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের জেরে সহিংসতা হয় চট্টগ্রামের হাটহাজারী, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জসহ আরও কয়েক জেলায়।

এসবের জের ধরে সরকারের সঙ্গে ব্যবধান বাড়ে হেফাজতের। এর মধ্যে গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি রিসোর্টে এক নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন মামুনুল। ওই নারীকে প্রথমে তিনি নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও পরে জানা যায়, মিথ্যা বলেছেন মামুনুল। ওই নারী তার পরিচিত হলেও স্ত্রী নয়।

এ ঘটনার পর থেকে অনেকটা ব্যাকফুটে যায় হেফাজত। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।

তাকে গ্রেপ্তারের পর হেফাজতের শীর্ষ পর্যায়ের আরও অন্তত ৩০ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গত ২৬ এপ্রিল বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে এবং ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগ পল্টন থানায় পুলিশ তিনটি মামলা করে। সবকটি মামলাতেই মামুনুল অন্যতম আসামি। এ ছাড়া, মোহাম্মদপুর থানায় করা ভাঙচুর মামলারও আসামি তিনি।

সবকটি মামলাতেই মামুনুলকে তিন দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর