আল-আকসা মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর শুক্রবার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
গণমাধ্যমে রোববার পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অবস্থান ব্যক্ত করেন।
বিবৃতিতে চরমোনাইয়ের পীর বলেন, আল-আকসা মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর ইহুদিবাদী ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ, ওআইসিসহ বিশ্ব মুসলিম ও বিশ্ব সম্প্রদায়কে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘নামাজরত মুসল্লিদের ওপর হামলা করে ইসরায়েল নিজেদের চরম অসভ্য, বর্বর ও কাপুরুষতার পরিচয় দিয়েছে। জারজ রাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী ইসরায়েলি বাহিনী বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়ে আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করেছে।’
রেজাউল বিশ্ব ইসলামী নেতৃত্বকে অবিলম্বে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর পরিচালিত ‘ইসরায়েলি নৃশংসতা’ বন্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল-আকসায় মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা মুসলমানের হৃদয়ে চরম রক্তক্ষরণ। পবিত্র রমজানের শেষ জুমায় আল-আকসা মসজিদ এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি পুলিশের হামলায় ২০০ মুসল্লিকে আহত ও রক্তাক্ত করে চরম বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে।
‘তথাকথিত শান্তি আলোচনার সুযোগে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে বারবার বিমান হামলা চালিয়ে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ এ পর্যন্ত কয়েক হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে এবং হাজার হাজার বাড়িঘর, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল ধ্বংস করেছে। ইসরায়েলের এ ধরনের আচরণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।’
চরমোনাই পীর বলেন, রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানরা চরমভাবে ব্যথিত, মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। অবিলম্বে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর পরিচালিত ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে বিশ্ব মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, আল-আকসা মসজিদকে মুসলমানদের ইবাদতের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। ইহুদিবাদী ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মুসলমানদের ওপর চলমান জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
ইসরায়েলের দখলকৃত জেরুজালেমের শেখ জারাহ এলাকায় ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরে উত্তপ্ত আল-আকসা মসজিদ ও আশপাশের এলাকা। সেখানে প্রতিদিনই ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে ফিলিস্তিনের।
সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন মহল।