লঞ্চ ও স্পিডবোটের পর দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধের ঘোষণায় এবার মাছ ধরার ছোট ছোট ট্রলারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন ঈদে ঘরমুখী দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
অবৈধভাবে ট্রলারে যাত্রী পারাপারের অভিযোগে রোববার ১৮টি ট্রলার জব্দ করেছে নৌপুলিশ।
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাট থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে কান্দিরপাড় এলাকায় রোববার বিকেলে দেখা যায়, ছোট ছোট মাছ ধরার ট্রলারে যাত্রী ওঠানো হচ্ছে। ট্রলার ভেদে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
যাত্রীরা জানান, যশলদিয়া এলাকার কান্দিরপাড় ঘাট থেকে ট্রলারে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শরীয়তপুরের হাজরার চরে। সেখান থেকে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে কয়েকবার গাড়ি বদলে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, শুধু কান্দিরপাড় নয়, মাওয়া মাছ বাজার এলাকার কাছে কয়েকটি স্পট থেকে অবৈধভাবে দুই দিন ধরে যাত্রী পারাপার চলছে। স্থানীয় অটোরিকশাচালকরা শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রীদের এসব জায়গায় নিয়ে আসেন।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলারে যাত্রী পারাপারে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে যাত্রীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ট্রলারে যাত্রী ওঠানোর কারণে শিমুলিয়া ঘাট, কান্দিরপাড়, মাওয়া মৎস্য আড়ত ও পদ্মা নদীর লৌহজং চ্যানেল থেকে ১৮টি ট্রলার জব্দ করা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার সকাল থেকে দিনের বেলা ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।