বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদে সারারা, গারারা ট্রেন্ড

  •    
  • ৯ মে, ২০২১ ২২:০৬

বিক্রেতারা বলছেন, এবার ঈদে সাদাসিধা সালোয়ার-কামিজের চাহিদা কম। ঈদের ট্রেন্ড সারারা, গারারা থ্রি-পিস। এছাড়াও এসেছে বারবি গাউন। প্রাধান্য পেয়েছে নানান ফিউশন। লং গাউন, পালাজ্জোসহ নানান কাটের পোশাক এবার ক্রেতাদের নজর কাড়ছে।

দোরগোড়ায় ঈদ। ঈদে সবার চাই নতুন পোশাক। তাই মহামারীর মধ্যেও এবার মেয়েদের পোশাকে এসেছে বৈচিত্র। এবারের ট্রেন্ড সারারা, গারারা, বারবি গাউন, লেহেঙ্গা।

করোনা সুরক্ষা নিশ্চিত করেই শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। লকডাউন ও নানা নিষেধাজ্ঞায় তৈরি হয়েছে পণ্যের সংকট। তারপরও নারীদের ঈদকেন্দ্রিক পোশাক ট্রেন্ডে থাকছে বৈচিত্র্যের সমাহার।

তবে ভিড় বাড়ার কারণে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বিক্রেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, এবার ঈদে সাদাসিধা সালোয়ার-কামিজের চাহিদা কম। ঈদের ট্রেন্ড সারারা, গারারা থ্রি-পিস। এছাড়াও এসেছে বারবি গাউন। প্রাধান্য পেয়েছে নানান ফিউশন। লং গাউন, পালাজ্জোসহ নানান কাটের পোশাক এবার ক্রেতাদের নজর কাড়ছে। ধূপিয়ান সিল্কের সঙ্গে নেট দিয়ে তৈরি এবং কারচুপি ও নানান রঙের এমব্রয়ডারি কাজ করা এসব গাউনের দাম একটু বেশি।

লিলেন, জর্জেট ও শিফন কাপড়ের তৈরি পোশাকগুলো মেয়েরা বেশি পছন্দ করছেন। এসব পোশাকের দাম ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এর চেয়েও বেশি দামের পোশাকও আছে।

বাজারে ভারতীয় পোশাকের আধিক্য এবার কম। তবে কাটিং ও ডিজাইনের কারণে দেশটির পোশাকের চাহিদা রয়েছে।

ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নতুন পোশাকে ক্রেতার আগ্রহ লক্ষ্যণীয়।

উৎসব সামনে রেখে বাহারি শাড়িরও চাহিদা রয়েছে। দেশীয় ব্রান্ডের পোশাকের চাহিদাও কম নয়। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগের এই ৩/৪ দিনে বাড়বে বিক্রি।

রাজধানীর বসুন্ধরা শপিংমলে আসা ক্রেতা সুমাইয়া বলেন, গত বছরের দুই ঈদে কেনাকাটা করা হয়নি। এজন্য এবার করোনার মধ্যেও নতুন ড্রেস কিনতে এসেছি।

নিজেদের জন্য নয়, বাচ্চাদের জন্য কিনতে এসেছে বলে জানান জাহানার বেগম। বললেন, করোনার কারণে অনেকদিন নুতন পোশাক কেনা হয়নি। কিন্তু ঈদের কারণে নিজেরা নতুন পোশাক না পরলেও ছেলে-মেয়েদের জন্য কিনতে হবে।

প্রতিটি দোকানের পুতুলে সাজানো রয়েছে মেয়েদের বাহারি রং ও ডিজাইনের পোশাক। অল্প বয়সী মেয়েদের সুতি পোশাকের চেয়ে পার্টি পোশোকে ঝোঁক বেশি।

বিক্রেতারা জানান, মেয়েদের জন্য এবার ঈদে সারারা হিট। সারারার নিচের অংশ পালাজ্জোর মতো ছড়ানো ও উপরে শর্ট কামিজ এবং ওড়না। জমকালো এ পোশাকটি জর্জেট আর সিল্কের ওপর জরি-চুমকি-পাথরের কটিওলা লং জামার সঙ্গে সালোয়ারেও রয়েছে প্রচুর কাজ। সঙ্গে হালকা কাজের চিকন পাড়ের ওড়না।

এছাড়াও রয়েছে গারারা, বারবি গাউন ও ফোর পিস লেহেঙ্গা। পাশাপাশি থ্রি পিসও রয়েছে। মানের ভিন্নতায় সারারার সর্বনিম্ন দাম পাঁচ হাজার থেকে শুরু। গারারা পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা থেকে। আর বারবি গাউনের মূল্য পাঁচ হাজার থেকে শুরু। এছাড়া ৭/১০ হাজার টাকার মধ্যেও রয়েছে কারুকাজ করা পোশাক।

বসুন্ধরা সিটিতে শপিং করতে আশা ইসরাত জাহান বলেন, করোনার কারণে অনকেদিন মার্কেটে আসা হযনি। এবার ঈদে অনেক সুন্দর সুন্দর পোশাক এসেছে। আমি একটি গাউন কিনেছি।

বসুন্ধরা সিটির এক ব্যাবসায়ি বলেন, করোনার জন্য ভারতীয় পোশাক তেমন আসেনি। তবে দেশীয় পোশাকের ডিজাইনে অনেক নতুনত্ব আনা হয়েছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রতি বছর ঈদে নিয়মিত আইটেমের সঙ্গে নতুন ডিজাইনের কিছু পোশাক যুক্ত হয়। এবারের ঈদে সেই নতুন সংযোজন হচ্ছে সারারা ও গারারা। লম্বা ঝুলের কামিজ, সঙ্গে নানা ধরনের সুতা, চুমকি ও জরির জমকালো কারুকাজে তরুণীদের নজর কাড়ছে।

সারারা সাধারণত ফ্রি সাইজের হয়। ফলে মোটামোটি সবাই পরতে পারে। প্রয়োজনে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা খরচ করে বডি ফিট করে নেয়ার জন্য অধিকাংশ দোকানের নিজস্ব টেইলার রয়েছে।

শাড়ির বিক্রিও মন্দ নয়। ছবি: নিউজবাংলা

বসুন্ধরা সিটির দেশি দশেও ভিড় চোখে পড়ার মতো। অনেকে দেশাল, বাংলার মেলা, সাদাকালো থেকে থ্রি পিস কিনছেন। আবার অনেকের পছন্দ ওয়ান পিস।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইদানিং মেয়েদের পছন্দ সিঙ্গেল কামিজ। অনেক চাকরিজীবী নারীও ঈদের সময় একাধিক কামিজ কেনেন। কারণ ঈদ উপলক্ষে এসব কামিজের ডিজাইনে নতুনত্ব আনা হয়। আবার দামও নাগালের মধ্যে।

এর পাশাপাশি হালকা রংয়ের সুতির শাড়িও কিনছেন অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর