সরকারের খাদ্যশস্য সংগ্রহ কার্যক্রমে রেশনের চাল বা পুরাতন চাল দেয়া হলে মিল মালিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রোববার সকালে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভিডিও কনফারেন্সে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যশস্য সংগ্রহের কর্মসূচিতে চাল, রেশনের চাল বা পুরাতন চাল দেয়া যাবে না। যদি কোনো মিলার তা দেয়, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কোনোভাবেই সেই চাল গ্রহণ করবেন না। যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট মিলারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মন্ত্রী জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে দেশে খাদ্যের সমস্যা হবে না। তাই খাদ্যশস্য সংগ্রহের গতি বাড়াতে হবে।
‘কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে’ জানিয়ে সাধন চন্দ্র বলেন, খাদ্যশস্য সংগ্রহে ধানকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং কৃষক যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী জানান, ছয়টি বিভাগের সব জেলার স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, মিল মালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিটিং সম্পন্ন হয়েছে। ১৩টি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে পাঠানো হয়েছে। কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এবারের বোরো সংগ্রহ অভিযানে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে।
ধান-চাল কেনায় ধানকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের সময় ওজনের অতিরিক্ত ধান নেয়া যাবেনা এবং কোনোভাবেই কৃষককে হয়রানি করা যাবে না।’
যেসব মৌসুমী ব্যবসায়ী ধান কিনতে ইচ্ছুক, তাদের ফুড গ্রেন লাইসেন্স নিতে হবে হবে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘কী পরিমাণ ধান ক্রয় করলেন এবং কোন মিলে তা সরবরাহ করলেন- সেই চালানের নাম্বার সহ একটা প্রতিবেদন প্রতি সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট খাদ্য অফিসে দাখিল করতে হবে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও মিল মালিক প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।