বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধে রিট

  •    
  • ৯ মে, ২০২১ ২০:২১

রিটে গাছ কাটা বন্ধের পাশাপাশি কেটে ফেলা গাছের তিন গুণ রোপণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশি প্রজাতির গাছগুলো কেটে প্রকল্প নির্মাণ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শতবর্ষী গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

ছয়টি সংগঠন এবং এক ব্যক্তির পক্ষে রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবদনটি করা হয়।

এর পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আছেন মিনহাজুল হক চৌধুরী।

রিটে গাছ কাটা বন্ধের পাশাপাশি কেটে ফেলা গাছের তিন গুণ রোপণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া দেশি প্রজাতির গাছগুলো কেটে প্রকল্প নির্মাণ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

একই সঙ্গে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না সে মর্মেও রুল জারির প্রার্থনা করা হয়েছে।

রিটকারী ছয় সংগঠন হলো—বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফরমস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), নিজেরা করি, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।

এর আগে গত ৬ মে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছিল।

রিটে বিবাদী করা হয়—মুক্তিযুদ্ধ সচিব, গণপূর্ত সচিব, পরিবেশ সচিব, বন ও জলবায়ু সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার সচিব, গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীকে।

গাছ না কাটার পাশাপাশি স্বাধীনতাযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মূলরূপে রক্ষারও দাবি জানানো হয়েছে। এই শতবর্ষী গাছগুলো বিলুপ্তপ্রায় পাখিদের আশ্রয়স্থল।

নোটিশে বলা হয়েছিল, সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিদ্যমান বেশকিছু শতবর্ষী গাছ কেটে ফেলেছে। শতবর্ষী এ বৃক্ষগুলো বিলুপ্তপ্রায় পাখির আবাসস্থল। যদিও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গৃহীত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কিছু গাছ কাটা হলেও প্রায় এক হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। কিন্তু পুরনো শতবর্ষী গাছ কেটে লাগানো নতুন গাছ কখনোই উদ্যানের পরিবেশ রক্ষায় একই ভূমিকা পালন করবে না, ফলে পুরনো এবং বিলুপ্তপ্রায় পাখির আশ্রয়স্থল ও আবাসের স্থান ধ্বংস করে বায়ু দূষণের শীর্ষে থাকা মহানগরীকে আরও নাজুক অবস্থায় ফেলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পিত এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। তাছাড়া উদ্যানের সবুজকে ধ্বংস করা প্রকারান্তে উদ্যানকে ধ্বংস করার এবং তার শ্রেণি পরিবর্তনের শামিল যা ২০০০ সালের ৩৬ নম্বর আইনের (জলাধার সংরক্ষণ আইন) পরিপন্থি।

এতে আরও বলা হয়, একই আইন অনুযায়ী উদ্যান হিসেবে চিহ্নিত ও ব্যবহৃত কোনো ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য হস্তান্তরও করা যাবে না।

তাছাড়া উদ্যানের সবুজ ধ্বংস করে এমন নির্মাণকাজ হাইকোর্টের রায়ের পরিপন্থি বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর