অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও জরুরি কাজে নিয়োজিত যানবাহন পারাপারের জন্য পাটুরিয়া ঘাট থেকে চলছে দুইটি ফেরি।
কিন্তু ঘাটেই থেকে যেতে হলো একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি লাশবাহী গাড়িকে। কারণ, ফেরি ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার, পণ্যবাহী জাহাজ ও মোটরসাইকেলে ভর্তি। সেই সঙ্গে আছে মানুষের ভিড়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শুক্রবার রাতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, করোনার বিস্তার রোধে শনিবার থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। রাতে শুধু পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলবে।
এরপর শনিবার বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান ঘোষণা দেন, ফেরিতে যাত্রী পারাপার ঠেকাতে ঘাটে থাকবে তাদের টহল দল।
পাটুরিয়া ঘাটে বেলা ২টার দিকে অল্প কিছু সময়ের জন্য বিজিবির কয়েকজন সদস্যকে দেখা গেছে। বাকি সময় শুধু পুলিশ ছিল।
রোববার বেলা সোয়া ৩টার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে হাসনাহেনা নামের ছোট একটি ফেরি ছেড়ে যায়।
ফেরিতে ওঠার অপেক্ষায় থাকা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের চালক মো. রনি নিউজবাংলাকে জানান, ঢাকার বারডেম হাসাপাতাল থেকে রোগী নিয়ে চুয়াডাঙ্গা যাবেন। পাটুরিয়া ঘাটে তার সামনে কয়েকটি যানবাহন ছিল। কিন্তু ফেরিতে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠার কারণে তিনি আর অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে উঠতে পারেননি।
রোগীর স্বজন ফরহাদ হোসেন জানান, তার বোনের স্বামীর পায়ের একটি আঙুলে পচন ধরেছে। এ কারণে পায়ের আঙুল কাটতে ঢাকা গিয়েছিলেন। চিকিৎসা শেষে পাটুরিয়া ঘাটে এসে এখন ফেরির জন্য অপেক্ষা করছেন।
লাশবাহী গাড়ির চালক জানান, ঘাটে তিনি এক ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করেছেন ফেরির জন্য। অতিরিক্ত যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রাকের কারণে ফেরিতে উঠতে পারেননি। গাড়িতে মরদেহ নিয়েই তাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছে ঘাটের লোকজন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিক বার ফোন দিয়েও বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাটের কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে মানিকগঞ্জের শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা জানান, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ফেরিতে ওঠার সময় কিছু যাত্রী ফেরিতে ওঠেন। যাত্রীরা যাতে ফেরিতে না ওঠেন সে জন্য ঘাটে পুলিশ রয়েছে।