দেশে ভারতীয় ডাবল মিউট্যান্টের করোনাভাইরাসের ধরন শনাক্ত হওয়ার পরও মানুষের উদাসীনতায় বিপজ্জনক ভবিষ্যৎ দেখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রোববার সকালে রাজধানীর আইডিইবি ভবনে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ আয়োজিত ‘মুজিববর্ষ ও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।
কাদের বলেন, ‘দেশে শনাক্ত হয়েছে করোনা ভাইরাসের ভয়ংকর ভারতীয় ধরন। এ ক্ষেত্রে সামান্যতম উদাসীন বিপজ্জনক ভবিষ্যতেরই পূর্বাভাস। এমতাবস্থায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই।’
অতীতের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মহামারিও মোকাবিলা করতে বাংলাদেশ সক্ষম হবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতা।
‘এ দেশের জনগণ অতীতে অনেক প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করছে। চলমান করোনা দুর্যোগও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ।’
করোনা সংক্রমণ রুখতে সরকার ১৬ মে পর্যন্ত দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করলেও নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে না। গত কয়েক দিন ধরে রাজধানী ছাড়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছেই। প্রতিটা ফেরির ঘাটে উপচে পড়া ভিড়। ঝুঁকি মাথায় নিয়েও প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। এতে সারা দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের- ফাইল ছবি
করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই মহামারি থেকে রক্ষা পেতে ঘরে ঘরে সচেতনতার দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে যার যার অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপন করে এই প্রাণঘাতী করোনাকে প্রতিরোধ করাই এখন একমাত্র অবলম্বন।’
এ সময় প্রতিবেশী ভারতে করোনা মহামারির অবস্থা তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের। জানান, ভারত এখন করোনার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড। অক্সিজেন উৎপাদনে বিখ্যাত দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারত আজ চরম অক্সিজেন সংকটে পড়েছে। সেখানে হাহাকার লেগেই আছে। ফুটপাতও এখন ভারতের শ্মশানঘাটে পরিণত হয়েছে। আবারও তৃতীয় ঢেউয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে এবং ভারত থেকে বিপজ্জনক বার্তা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘অভিন্ন শত্রু করোনাকে বাদ দিয়ে এখনও দেশে রাজনীতির ব্লেম গেইম চলমান। যত দোষ কেবল নন্দ ঘোষ শেখ হাসিনা ও তার সরকারের। অথচ বাংলাদেশ এখনও তুলনামূলকভাবে ভালো আছে শেখ হাসিনার মতো সাহসী, দূরদর্শী ও মানবিক নেতৃত্বের কারণে।
‘জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয় করে শেখ হাসিনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয়েছেন, এ কথা তার নিন্দুকেরাও স্বীকার করেন।’