নাশকতার প্রস্তুতিকালে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।
তারা সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে সাংবাদিকদের জানান সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মোহাম্মদ জসিম ইসলাম ওরফে জ্যাক, মো. আব্দুল মুকিত, মো. আমিনুল হক ও সজীব ইখতিয়ার।
সিটিটিসির দাবি, গ্রেপ্তারকৃতরা সিলেটে বিজিবি দপ্তর ও ঢাকায় পুলিশের টহল টিমের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল। সেই সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডারর মাধ্যমে বড় ধরনের বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
এসব নাশকতার পর তারা আফগানিস্তানের পালিয়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা করেছিল বলে জানান আসাদুজ্জামান।
আটকের সময় চার জনের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র এবং ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে মোহম্মদপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামিদেরকে ১০ দিনের রিমান্ডে পেতে আবেদন করা হবে বলে জানান মো. আসাদুজ্জামান।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আলসার আনসার আল ইসলামের স্বক্রীয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে। তারা সংগঠনের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সম্পাদন করতে দেশের বিভিন্ন জেলা হতে রাজধানীর বসিলায় এলাকায় এসে জড়ো হয়েছিলেন।’
তিনি জানান, আনসার আল ইসলামের ‘মাসুল’ তথা দাওয়াত কার্যক্রম পরিচালনাকারী ব্যক্তি ফরিদ ও আবদুল্লাহর মাধ্যমে দাওয়াত পেয়ে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন গ্রেপ্তার চারজন। তারা টেলিগ্রাম ও অনলাইন প্রোটেক্টেড টেক্সটের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতেন। তারা অনলাইন টেলিগ্রাম অ্যাপস এ সায়েন্স প্রজেক্ট নামে একটি গ্রুপ তৈরি করেছিল। সম্প্রতি তারা অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করে বিস্ফোরক প্রস্তুতের চেষ্টা করছিল ও বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিল।
আটককৃতদের মোবাইল ফোন থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায় জানিয়ে আসাদুজ্জামান আরও বলেন, সম্প্রতি গ্রেপ্তারকৃতরা সংগঠনের দায়িত্বশীলদের নির্দেশে সিলেটের কোতোয়ালি থানা এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা করে হোটেল ম্যানেজারকে আহত করে পালিয়ে যায়।
‘এ গ্রুপের সদস্যগণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টার্গেট করে হামলার উদ্দেশ্যে ধারাল অস্ত্র সংগ্রহের মাধ্যমে প্রস্তুতি গ্রহণ করে বলে জানা যায়। তারা সিলেটের একটি বিজিবি ক্যাম্প ও ঢাকায় পুলিশের টহল টিমের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিল। সে অনুযায়ী তারা ঢাকা ও সিলেটে রেকিও করেছিল।’