রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যেতে সরকারের কাছে করা আবেদনে অভিমত দিয়ে সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রোববার সকালে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, পাঠিয়ে দিয়েছি।’
কী অভিমত দেয়া হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলবেন।’
বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যেতে ৫ মে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দর। সেদিন রাতেই আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
পরের দিন গুলশানে নিজ বাড়িতে আইনমন্ত্রী জানান, ওই দিনের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে না। তবে আবেদনটি মানবিকভাবে দেখা হচ্ছে।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা পাওয়া বিএনপি নেত্রীকে ২০২০ সালের মার্চে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হয় দণ্ড স্থগিত করে। তাকে মুক্ত করতে বিএনপির সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর আছে আবেদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী আদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দণ্ড স্থগিত করার ব্যবস্থা করেন।
প্রথমে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হলেও পরে দুই দফায় আরও ছয় মাস করে সময় বাড়ানো হয়।
মুক্তির ক্ষেত্রে দুটি শর্তের কথা জানানো হয় সরকার ও বিএনপির পক্ষ থেকে। শর্তে বলা হয়, বিএনপি নেত্রীকে চিকিৎসা নিতে হবে দেশেই। আর তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
যদিও প্রকাশিত শর্তের বাইরে আরও শর্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, মুক্তির পর এক বছরেও বিএনপি নেত্রী রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা বলেননি; কোনো বক্তব্য-বিবৃতি দেননি।
এর মধ্যে গত ১১ এপ্রিল বিএনপি নেত্রীর করোনা ধরা পড়ে। আর তিনি নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে ২৭ এপ্রিল ভর্তি হন হাসপাতালে।
শনিবার রাতে বিএনপি নেত্রী করোনামুক্ত হন। তবে ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার আরও কিছু রোগ রয়েছে। এর মধ্যে আছে বাতজ্বর, হাঁটুর ব্যথা, চোখের সমস্যা ও ডায়াবেটিস।