বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘যথাসময় টিকা আসবে, সবাই পাবে’

  •    
  • ৯ মে, ২০২১ ০০:০২

‘টিকা নিয়ে চিন্তা করার কিছু নাই। রাজনীতি করারও কিছু নাই। আপনারা ভাগ্যবান জাতি যে প্রধানমন্ত্রী টিকা কিনে এনে বিনা পয়সায় আপনাদের দিচ্ছেন। তিনি টিকা আনতে হাজার হাজার কোটি টাকা রেখে দিয়েছেন।’

টিকা যথাসময় আসবে এবং সবাই পাবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। টিকা প্রসঙ্গে ফেসবুকে দেয়া এক ভিডিও পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার দেয়া এই ভিডিও পোস্টে মন্ত্রী বলেন, ‘টিকা নিয়ে বিভিন্ন রকম আলোচনা হচ্ছে। আপনাদের মনে রাখতে হবে, বিশ্বের ১৩০টি দেশ যখন টিকা পায়নি তখন বাংলাদেশ টিকা নিয়ে এসেছিল। কেবল আনেনি, টিকা দেয়াও শুরু করেছে। ইতালি, স্পেন, জার্মানির মতো মহামারিতে বিপর্যস্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকার এই এপ্রিলে সিদ্ধান্ত নেয়, কী ধরনের টিকা তারা নেবে। তবে আমরা মহামারির শুরু থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি কী ধরনের টিকা নেব।

‘এই সিদ্ধান্তের কারণে যেকোনো দেশের চেয়ে আমরা অনেক এগিয়ে আছি। যে কারণে আমরা প্রায় ১০ মিলিয়ন বা এক কোটি মানুষকে টিকা দিয়ে ফেলেছি। আমরা এ বছরের শুরুতে, জানুয়ারির ২৫ তারিখ প্রথম টিকা নিয়ে আসি। ফেব্রুয়ারিতে আমরা তা দেয়া শুরু করি।’

তিনি বলেন, আমরা চুক্তি করি ভারতের সঙ্গে। আমরা চুক্তি করি সেরাম কোম্পানির সঙ্গে। তারা থার্টি মিলিয়ন বা তিন কোটি ডোজ টিকা দিতে চুক্তিবদ্ধ। তারা তাদের কথা রাখতে পারেনি। একে তো তাদের দেশে মহামারিটা বেশি বেড়েছে, দ্বিতীয় হলো তাদের যে কাঁচামাল, যা আমেরিকা থেকে আসত, সেটাও বন্ধ ছিল নানা কারণে। আমারা পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছি। আমরা সেই সঙ্গেই অন্য দেশ থেকে টিকা আনার পরিকল্পনা হাতে নিই।

‘আপনারা জেনে খুশি হবেন এখন আমরা রাশিয়া, চীন থেকে টিকা আনছি। যা তারা তৈরি করে। এমনকি আমেরিকা থেকেও টিকা আনার যথেষ্ট সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আমার বিশ্বাস, খুব দ্রুত সময়ে আমরা যথেষ্ট পরিমাণ টিকা আনব। এবং কারও এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নাই। যথাসময়ে টিকা আসবে এবং যথাসময়ে সবাই তা পাবে ‘

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বার্তায় আরও বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন রাশিয়া এবং চীনের টিকা আগে কেন আনলাম না। সে ক্ষেত্রে বলতে চাই, আমাদের দেশের যারা পণ্ডিতজন, বিজ্ঞানী, তারা বলেছিলেন আমাদের সবার মঙ্গলের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ছাড়া টিকা না আনতে। রাশিয়া ও চীনের টিকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ছিল না। সেই কারণে তখন আমরা আনিনি। আর এখন যেহেতু ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি, তা ছাড়া চীনা টিকা এখন পর্যন্ত ১০০ মিলিয়ন মানুষ নিয়েছেন, ৬৩ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা নিয়েছেন। কারও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।

তা ছাড়া রাশান স্পুৎনিক ভি-কে বিশ্বের নানা জার্নালে বলছে, ইট ইজ দ্য টপ ভ্যাকসিন। যা ৯৬ ভাগ কাজ করে। যদিও এর অনুমোদন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেই। তবু প্রধানমন্ত্রী বিশেষ ক্ষমতাবলে এগুলো আনার অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা আগে থেকেই চায়না ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে রেখেছি। ১২ তারিখে চীনের টিকার প্রথম চালান এখানে আসবে। পাঁচ লাখ ডোজ। গিফট হিসেবে। তাই টিকা নিয়ে কারও চিন্তা করার কিছু নাই। কোনো রাজনীতি করারও কিছু নাই।

আমরা যখন ভারত থেকে টিকা আনার চুক্তি করি, এত সস্তায় বিশ্বে কেউ টিকা পায় না। মাত্র চার ডলার। আর পরিবহনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এক ডলার। মাত্র পাঁচ ডলারে এক টিকা। আমেরিকায় দুই ডোজের দাম ৮০ ডলার। ইউরোপে ২০ থেকে ২৫ ইউরোর দরকার। আপনারা ভাগ্যবান জাতি যে প্রধানমন্ত্রী টিকা কিনে এনে বিনা পয়সায় আপনাদের দিচ্ছেন। তিনি টিকা আনতে হাজার হাজার কোটি টাকা রেখে দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর