বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেরি বন্ধে বঙ্গবন্ধু সেতুতে দ্বিগুণ গাড়ি

  •    
  • ৮ মে, ২০২১ ২৩:৩১

প্রায় প্রতিটি গাড়িতেই দেখা গেছে ভিড়। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। চলতে দেখা গেছে বাসও। সেখানে প্রতি আসনেই বসে যাত্রী। ট্রাকেও উঠেছে ঘরমুখো মানুষ।

ফেরিতে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেয়ার প্রভাবে বঙ্গবন্ধু সেতুতে যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গেছে। সেতুর সংযোগ সড়কে দেখা গেছে দীর্ঘ যানজট।

অতিরিক্ত গাড়ির বেশিরভাগই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের চলাচলের চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে গন্তব্যে গিয়েছে।

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার হয়ে যারা চলাচল করে, সেই পথেরও কিছু কিছু গাড়ি আছে যেগুলো বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে হলেও দক্ষিণের জনপদে ঘুরে যেতে চাইছে।

প্রায় প্রতিটি গাড়িতেই দেখা গেছে ভিড়। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। চলতে দেখা গেছে বাসও। সেখানে প্রতি আসনেই বসে যাত্রী। ট্রাকেও উঠেছে ঘরমুখো মানুষ।

ঈদে বাড়ি ফেরা বাংলাদেশের সাধারণ একটি চিত্র। কোটি কোটি মানুষের স্বাচ্ছন্দে বাড়ি ফেরার মতো পর্যাপ্ত যানবাহন কখনও থাকে না। আর বাস-ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়ের পাশাপাশি পণ্যবাহী গাড়িতেও প্রতি বছর মানুষ গন্তব্যে ফেরে।

তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের চিত্রটি ভিন্ন। লকডাউনে দূরপাল্লার আন্তজেলা বাস পুরোপুরি বন্ধ। ঈদের ছুটিতে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশও এসেছে সরকারের পক্ষ থেকে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে তুলনামূলক বেশি প্রাণঘাতি, আক্রান্তের হারও বেশি। এই অবস্থায় গত ৫ এপ্রিল থেকে চলছে লকডাউন। সপ্তাহে সপ্তাহে বাড়ছে বিধি নিষেধ।

এর মধ্যে আবার করোনার আরও বেশি প্রাণঘাতি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে শঙ্কা। সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েও ঠেকানো যায়নি ভাইরাসের এই আগমন। এরই মধ্যে ছয় জনের মধ্যে ভাইরাসের সেই রূপ পাওয়া গেছে, যেটি ভারতে প্রতি মিনিটে প্রায় তিন জন মানুষকে মেরে ফেলছে।

এমন পরিস্থিতিতে সরকার চাইছে না খুব বেশি সংখ্যক মানুষ একজোট হয়ে থাকুক। কিন্তু মানুষের বাড়ি ফেরার বাসনায় উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।

পরিস্থিতি দেখে শুক্রবার রাতে সরকার জানায় নতুন সিদ্ধান্ত, ফেরি বন্ধ থাকবে দিনের বেলায়। আর রাতে চলবে কেবল পণ্যবাহী যানবাহন।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার আগেই শনিবার সকালে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা থেকে দক্ষিণের জনপদে যাওয়ার দুই পথ শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে ভিড় করেতে থাকে। কিন্তু ফেরি চলবে না- জানিয়ে দেয়া হয় সিদ্ধান্ত।

তবু হাজারো মানুষ নদী তীরে অপেক্ষা করে থাকে। এই পরিস্থিতিতে ‘মানবিক কারণে’ কয়েকটি ফেরি ছাড়া হয়।

কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে বিশেষ করে পাটুরিয়া ঘাট হয়ে যারা গাড়িতে করে যেতে চেয়েছিলেন, তাদের একটি অংশ ফিরে আসে ঢাকায়। একটি অংশ যায় টাঙ্গাইল হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর দিকে।

শুক্রবার রাত নয়টা থেকে শনিবার রাত নয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই সেতু দিয়ে ২৫ হাজার ১০৮টি যানবাহন পার হয়েছে।

এই গাড়ির মধ্যে সিংহভাগই পার হয়েছে শনিবার দিনের বেলায়।

করোনা আসার আগে এই সেতু দিয়ে দিনে ২০ থেকে ২২ হাজার গাড়ি পারাপার হয়।

আগের ২৪ ঘণ্টায় এই সেতু দিয়ে গাড়ি পার হয়েছে ১০ হাজারের কিছু বেশি।

গাড়ির চাপে শনিবার বিকেল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে কামারখন্দ উপজেলার নলকা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।

লকডাউনে নিষিদ্ধ থাকলেও দেখা গেছে দূরপাল্লার বাসও। তবে বেশিরভাগই দেখা গেছে মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার

মোটরসাইকেলে করেও বিপুল সংখ্যক মানুষকেও সেতু দিয়ে নদী পার হতে দেখা গেছে।

ট্রাকে করেও গাদাগাদি করে যেতে দেখা গেছে বহু জনকে।

বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল ইনচার্জ নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার শুরু থেকে সেতুর ওপর যান চলাচল অনেক কম ছিল। গড়ে প্রতিদিন ১০ হাজার গাড়ি পারাপার হতো। কিন্তু গত দুই দিন যাবৎ গাড়ির চাপ অনেক বেড়ে গেছে। পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি বন্ধ থাকায় ঈদ পর্যন্ত চাপ আরও বাড়বে।’

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসাদ্দেক আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হঠাৎ করে যানবাহনের চাপ বাড়ায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। কখনও যানজট কমে যানবাহন ধীর গতিতে চলছে। যানজট নিরসনে কাজ করছে জেলা পুলিশ।’

দূরপাল্লার কোনো বাস ও মাইক্রোবাস এবং ট্রাকে করে যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করলে সে সমস্ত যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমে আটকে দেয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর