বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেরিঘাটে জনতার পারাপার ঠেকাতে এবার বিজিবি

  •    
  • ৮ মে, ২০২১ ২২:০৯

‘অন্যান্য নৌযান-স্পিডবোট, লঞ্চ বন্ধ করে দেয়ার কারণে জনগণ আমাদের ফেরির দিকে ছুটছে। ফেরি মূলত যানবাহন পারাপারের জন্য। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। কারণ, এভাবে যাত্রী পার হওয়ায় করোনাঝুঁকি বাড়াবে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের অবাধে পারাপার ঠেকাতে পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া, বাংলাবাজার- কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

শনিবার সন্ধ্যায় বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’

কোন কোন জেলায় বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন জানতে চাইলে, তিনি বলেন, ‘দুটো জেলায় বিজিবি মোতায়েন হয়েছে, মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে।’

নির্দিষ্ট করে সংখ্যা না বললেও, প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানান বাহিনীর এই কর্মকর্তা।

মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। তবে আমরা এখনও লিখিত আদেশ পাইনি।’

তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ ফেরিঘাটে জনস্রোতকে নিয়ন্ত্রণে আনা। আমরা মানুষকে নিরুৎসাহিত করব যাতে তারা ঈদে বাড়ি না যান। ফেরি চালু রাখা হয়েছে জরুরী যান চলাচলের জন্যে। সাধারণ মানুষ ও ব্যক্তিগত পরিবহন চলাচলের জন্যে এ বিশেষ সার্ভিস চালু রাখা হয়নি।

কোনো মানুষকে ফেরিঘাট থেকে ফেরত পাঠানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জরুরী প্রয়োজন ছাড়া যারা ফেরি পারাপারের চেষ্টা করবে তাদের আবারও রাজধানীতে ফেরত পাঠানো হবে।

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ সীমিত করতে চলমান লকডাউনের মধ্যেই ঈদে বাড়ি করতে লাখো মানুষ মানুষের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ছোট ছোট গাড়িতে করে তারা গন্তব্যে যাচ্ছেন।

এর মধ্যে ফেরিতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় করার ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে এর আগে শনিবার থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের পারাপার ঠেকাতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং বাংলাবাজার-কাঁঠালবাড়ি রুটে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন-বিআইডব্লিউটিসি।

তবে রাতে জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চালু রাখারও সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকারি এই সংস্থাটি। এর মধ্যেও ঘাটে থাকা হাজারো মানুষকে পার করতে চলেছে কয়েকটি ফেরি।

এভাবে মানুষের দল বেঁধে চলার কারণে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে শঙ্কার কথা বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

শনিবার রাতে বিআইডব্লিউটিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মিশা বলেন, ‘অন্যান্য নৌযান-স্পিডবোট, লঞ্চ বন্ধ করে দেয়ার কারণে জনগণ আমাদের ফেরির দিকে ছুটছে। ফেরি মূলত যানবাহন পারাপারের জন্য। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। কারণ, এভাবে যাত্রী পার হওয়ায় করোনাঝুঁকি বাড়াবে।’

পণ্যবাহী ট্রাক ও অন্যান্য যান পারাপারের জন্য রাতে ফেরি চালু থাকলেও সাধারণ যাত্রী পার হতে পারবে না বলে জানান তিনি।

তবে দিনের বেলায় রোগী কিংবা মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থায় ফেরি চলাচল করবে বলেও জানান বিআইডব্লিউটিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা।

এর আগে শুক্রবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিআইডব্লিউটিসি জানিয়েছে, ‘সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক করোনা বিস্তার রোধে শনিবার থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। রাতে শুধু পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলবে।’

ঘাটে ফেরিতে মানুষ পারাপারে বাধা দেয়ার পর যমুনা সেতুতে চাপ বেড়েছে

তবে এই সিদ্ধান্ত জানার আগেই হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন ঘাটে ভিড় করে। এদের একটি অংশ ফিরে এসেছে রাজধানীতে। কেউ আবার বিকল্প পথে যমুনা সেতু দিয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। পণ্যবাহী গাড়িতেও গাদাগাদি করে যেতে দেখা গেছে।

করোনার কারণে সরকার জেলার ভেতর গাড়ি চলাচল করতে দিলেও আন্তজেলা বাস চলতে দিচ্ছে না। বন্ধ আছে লঞ্চ, ট্রেনও। চাররিজীবীদেরকে ঈদে কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর