গত ২৬ এপ্রিল থেকে বন্ধ রাখা ভারত সীমান্ত আরও ১৪ দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শনিবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল বৈঠকে ভারতের করোনাভাইরাস (কোভিড–১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে দেশটির সঙ্গে স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কমিটি সুপারিশে গত ২৫ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে পরদিন থেকে দুই সপ্তাহের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে পণ্যবাহী যানবাহন চালু থাকে।
দ্বিতীয় ঢেউয়ে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের যুক্তরাজ্য ও সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে বেশি। গত বছর দেশে যে ভ্যারিয়েন্ট এসেছিল তার চেয়ে এই দুই ভ্যারিয়েন্ট বেশি সংক্রামক। পাশাপাশি মানুষকে বেশি ভোগাচ্ছে, দ্রুত অক্সিজেন সাপোর্ট এমনকি আইসিইউ লাগছে।
এর মধ্যে ভারতের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মারা গেছে চার হাজারের বেশি মানুষ। প্রতি মিনিটে এখন তিন জনের মতো মৃত্যু হচ্ছে দেশটিতে।
সীমান্ত বন্ধের মধ্যেই অবশ্য বাংলাদেশে ভারতীয় মিউটেন্ট ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ মিলেছে। এখন পর্যন্ত দুই জনের শরীরে নিশ্চিতভাবেই এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। আরও চার জনের মধ্যেও ভ্যারিয়েন্টি পাওয়া গেছে কাছাকাছি রকমের।
সীমান্ত দিয়ে ফিরতে পারছেন কেবল ভারতীয়রা। ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরাও ফিরতে পারছেন বিশেষ অনুমতি নিয়ে
আবার যে দুই জনের মধ্যে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে, তারা কেউ ভারত থেকে আসেননি। একজনের বাড়ি খুলনায়, একজনের সাতক্ষীরায়। ফলে এটি নানাভাবে দেশে ঢুকেছে, এটা নিশ্চিত।
এবার ফেরা যাবে বিশেষ ব্যবস্থাপনায়
সীমান্ত বন্ধ থাকলেও ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা অনুমতি নিয়ে ফিরতে পারছেন। তবে সীমান্তেই তাদের করোনা পরীক্ষা করতে হচ্ছে। আর সেখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থেকেই তবে দেশে ফেরার অনুমতি মিলছে।
এবারও বাংলাদেশের যে নাগরিকেরা চিকিৎসার জন্য ভারতে আছেন এবং যাঁদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিনের কম—শুধু তাঁরাই বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারি সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন।
ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে দেশে ফিরতে আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের দিল্লি, কলকাতা ও আগরতলার বাংলাদেশ মিশনের অনাপত্তিপত্র নিতে হবে।
তবে এরই মধ্যে সীমান্ত এলাকায় কোয়ারেন্টিন–সুবিধার জায়গা সীমিত হয়ে পড়ায় ঈদের ছুটির আগে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন অনাপত্তিপত্র দেওয়ার বিষয়ে কিছুটা কড়াকড়ি মেনে চলবে।