অবৈধ বিট কয়েন কারবারের হোতা ইসমাইল হোসেন সুমনসহ ১২ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাড্ডা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখতে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে হাকিম আতিকুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন আবুল বাশার রুবেল, আরমান পিয়াস, রায়হান আলম সিদ্দিকি, মো. জোবায়ের, মেহেদী হাসান রাহাত, মেহেদী হাসান, রাকিবুল হাসান, রাকিবুল ইসলাম, সোলাইমান ইসলাম, মো. জাকারিয়া ও আরাফাত হোসেন।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকার বেসিক বিজ মার্কেটিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানে গত ২ মে রাত আড়াইটার দিকে অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে অবৈধ বিট কয়েন কারবার এবং অনলাইনে প্রতারণার অভিযোগে সুমনসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ২৯টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, তিনটি ল্যাপটপ, ১৫টি মোবাইল ফোন, একটি ট্যাবলেট ফোন ও নানা নথিপত্র।
এজাহারে বলা হয়, চক্রের হোতা ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। ২০১৩ সালে ছোট্ট একটি দোকানে বাচ্চাদের খেলনা ও কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। সেখান থেকেই তিনি শুরু করেন বিট কয়েনের কারবার। গড়ে তোলেন বেসিক বিজ মার্কেটিং নামে অনলাইন আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটির আড়ালে অবৈধ বিট কয়েন কেনা-বেচা এবং অনলাইনে নানা প্রতারণা করে আসছিলেন সুমন।