বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিবেশবাদীদের একহাত নিলেন কাদের

  •    
  • ৮ মে, ২০২১ ১৫:৫৭

কাদের বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণের স্থান ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ করার স্মৃতি মুছে ফেলার জন্যই জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি হয়ে এই উদ্যানের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে শিশু পার্ক করেছিলেন। পরিবেশবাদীরা তখন প্রশ্ন তোলেন নাই কেন? কারো মুখে একটা কথাও সেদিন আমরা শুনতে পাইনি।’

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গাছ কাটার বিরোধিতাকারীদের একহাত নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজ বাসভবনে শনিবার সকালে এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

কাদের বলেন, অতীতে ঘটে যাওয়া ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে হবে পরিবেশবাদীদের।

এ সময় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্থান ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সারেন্ডার (আত্মসমর্পণ) করার স্মৃতি ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার জন্যই জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি হয়ে এই উদ্যানের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে শিশু পার্ক করেছিলেন। পরিবেশবাদীরা তখন প্রশ্ন তোলেন নাই কেন? কারো মুখে একটা কথাও সেদিন আমরা শুনতে পাইনি।’

ইতিহাস তুলে ধরে কাদের বলেন, ‘রেসকোর্স ময়দানে প্রথম গাছ লাগিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটিকে উদ্যান হিসেবে বঙ্গবন্ধুই চালু করেছিলেন।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সারেন্ডার (আত্মসমর্পণ) করার জায়গা দর্শনীয় করে তোলার জন্য এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আগের সরকারগুলোর সময় সৌন্দর্য বাড়ানোর নামে এই ঢাকা শহরে রাস্তার পাশ থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল, উজাড় করে ফেলা হয়েছিল এই নগরীর সৌন্দর্য। সেইসব নিয়ে পরিবেশবাদীদের তোড়জোড় নেই।’

এর আগে ঢাকা সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

কাদের বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্নয়ন প্রকল্প ঘিরে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্নয়ন প্রকল্পের বিরোধিতাকারীদের সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: নিউজবাংলা

একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। লাল রঙের ক্রস চিহ্ন দেয়া হয়েছে কাটার জন্য নির্ধারিত অনেক গাছে। গাছ কাটার বিরোধিতা করে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছে বেশ কিছু পরিবেশবাদী সংগঠন।

করোনার স্বাস্থ্যবিধি

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে করোনার স্বাস্থ্যবিধি প্রসঙ্গও উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘গত কয়দিনে ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদাসীনতা লক্ষ করা গেছে। শপিং মল, মার্কেটগুলোতেও একই অবস্থা।

‘এ ধরনের পরিস্থিতি গত কয়দিনে করোনা সংক্রমণ হারের যে নিম্নমুখী প্রবণতা, সেটাকে আবারও বাড়িয়ে দিতে পারে। আগে জীবন, পরে জীবিকা। এই মুহূর্তে বেঁচে থাকাটাই জরুরি। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক আনন্দ উৎসব করা যাবে। কাজেই এবার অন্তত সবাই মিলে ত্যাগ স্বীকার করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে পরিবহন ও যাত্রীদের চাপ থাকায় ঢাকার প্রবেশ মুখগুলোতে চাপ বেড়ে যায়। তাই ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি সমন্বয় করে জনভোগান্তি কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

এ সময় বর্ষার আগেই রাস্তা মেরামতের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন কাদের।

এ বিভাগের আরো খবর