দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় বিকল্প পথে ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ। এতে বঙ্গবন্ধু সেতুতে বেড়েছে যানবাহনের চাপ।
শুক্রবার রাতে এই নৌরুটগুলোতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। এতে শনিবার সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতুতে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ দেখা দেয়।
দূরপাল্লার গণপরিবহন না চলায় প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে এ সেতু হয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও ট্রাকে গাদাগাদি করে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছে মানুষজন।
এমন অবস্থায় কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ফলে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।
গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ বেশি হয়। ঈদের আগে এ সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিলে যানবাহনের চাপ বাড়ে বঙ্গবন্ধু সেতুতে। ছবি: নিউজবাংলা
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পার কড্ডার মোড় এলাকায় ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী ট্রাকচালক জিয়াউর হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দৌলতদিয়া নৌ-রুটে অনেক যানজট। ঠিকমতো ফেরি চলতেছে না। রাতে অনেক ভিড়। তাই বাধ্য হয়ে এই পথে যাচ্ছি। তাই আমার অনেক ঘুরে যেতে হচ্ছে।’
যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস চালক আরিফ হোসেন বলেন, ‘আমি যশোরে যাব। কিন্তু দৌলতদিয়া-পাটুরিয়াতে পার হতে দিচ্ছে না। তাই এই রোড দিয়ে যাচ্ছি। আর বাস বন্ধ থাকায় আমাদের এই মাইক্রোবাসে এখন যাত্রীর চাপ অনেক বেশি।’
বঙ্গবন্ধু সেতুর উপসহকারী প্রকৌশলী শাহিন রেজা নিউজবাংলাকে জানান, গত দুই দিন ধরে সেতুর ওপর যান চলাচল অনেকটাই বেড়ে গেছে। ঈদের আগে আরও বাড়বে। তবে দৌলতদিয়া নৌ-রুট স্বাভাবিক করে দিলে এই যান চলাচলের চাপ অনেটাই কমে যাবে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। যাত্রীবাহী কোনো যানবাহন চলতে দেয়া হচ্ছে না। তবে মানুষ বিভিন্ন প্রাইভেট কার এ মাইক্রোবাসে করে যাতায়াত করছে।
তিনি আরও জানান, পণ্যবাহী ট্রাক ঢাকায় পণ্য খালাসের পর তাতে গাদাগাদি করে লোক নিয়ে ফিরছে। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে মহাসড়কে চাপ ধীরে ধীরে ততই বাড়ছে।