বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদে বাড়তি ফ্লাইট চায় দেশি এয়ারলাইন্স

  •    
  • ৭ মে, ২০২১ ২২:৫৮

‘স্বাভাবিক সময়ে ঈদে যখন বাস ট্রেন চলাচল করে, তখনও আকাশপথে বাড়তি একটা চাপ থাকে। এবার তো দুটোই বন্ধ, তাই স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি চাপ তো আসবেই।’

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, লঞ্চ সেবা বন্ধ থাকলেও চালু রয়েছে সীমিতসংখ্যক অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ সামলাতে বাড়তি ফ্লাইট চাইছে দেশি এয়ারলাইন্সগুলো।

এমনিতেই প্রতিবছর ঈদকে সামনে রেখে রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে আকাশপথে যান কয়েক লাখ মানুষ। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে চিত্র ভিন্ন। দেশের ছয়টি বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামার অনুমতি দেয়া হলেও এয়ারলাইন্সগুলোকে ফ্লাইট সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

১৬ দিন বন্ধ থাকার পর ২১ এপ্রিল সীমিতভাবে চলাচল শুরু করে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। তবে দিনে একটি এয়ারলাইন্সকে সর্বোচ্চ ১১টি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে বেবিচক। সে অনুযায়ী, ফ্লাইটও ঘোষণা করে দেশি এয়ারলাইন্সগুলো।

বেসরকারি এয়ারলাইন্স মালিকদের সংগঠন এভিয়েশন অপারেটস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, দেশি এয়ারলাইন্সগুলোর যে সক্ষমতা তার এক-তৃতীয়াংশও বর্তমানে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে ঈদে যখন বাস ট্রেন চলাচল করে, তখনও আকাশপথে বাড়তি একটা চাপ থাকে। এবার তো দুটোই বন্ধ, তাই স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি চাপ তো আসবেই।

‘এখন তো আমাদের নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সির মধ্যেই অপারেট করতে হবে। পরিস্থিতি বুঝে অথোরিটি যদি অনুমোদন দেয়, তাহলে আমরা অবশ্যই এক্সট্রা শিডিউল চাই। কারণ ঈদের সময় সব সময় চাপ থাকে। এ সময় আমরা এক্সট্রা ফ্রিকোয়েন্সি চালাই। সে ক্ষেত্রে এবার তো ক্যাপাসিটির ওয়ান থার্ডও চালাচ্ছি না।’

অবশ্য বেবিচক বলছে, এখনই এয়ারলাইন্সগুলোকে বাড়তি ফ্লাইট চালানোর অনুমতি দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।

আকাশ পথের নিয়ন্ত্রক এ সংস্থার চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার ঈদে যেহতু সরকারি ছুটি বাড়ানো হয়নি তাই মনে হয় সেভাবে মানুষের রাজধানী ছাড়ার চাপ থাকবে না। এ কারণে ভ্যন্তরীণ রুটে বাড়তি কোনো স্লট আপাতত দেয়া হচ্ছে না।

‘তবে প্রবাসী কর্মী, যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে আসবেন বা এখান থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাবেন, তাদের কোনো চাপ তৈরি হলে আমরা দুই একটি বাড়তি ফ্লাইটের অনুমতি দিতে পারি। তবে এখনও এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার শুরুতে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। সেই সময় আন্তঃজেলা পরিবহনগুলোর মতো বন্ধ করা হয় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।

তবে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু থাকায় তা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে খুব একটা কাজে আসেনি।

সে প্রেক্ষাপটে ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রথমে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলার কথা থাকলেও পরে তা বৃদ্ধি করা হয় ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। এতেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ কয়েক ধাপে বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারের সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ১৬ মে পর্যন্ত চলবে এই বিধিনিষেধ।

বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর হিসাব অনুযায়ী, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিবছর দেশের অভ্যন্তরের বিভিন্ন গন্তব্যে আকাশপথে ভ্রমণ করেন ১৮ থেকে ২০ লাখ মানুষ। প্রতি বছর তা বাড়ছে ৭ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর