বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রকে রোহিঙ্গা নেয়ার আহ্বান বাংলাদেশের

  •    
  • ৭ মে, ২০২১ ১৩:৫৮

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসন ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থীদের গ্রহণের সংখ্যা ২ লাখ আড়াই হাজার করেছে, ২০২২ সালে তা আরও সোয়া লাখ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। আমেরিকা এর একটি বড় অংশ পূরণের জন্য বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গ্রহণ করার বিষয় বিবেচনা করতে পারে।’

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

লকডাউনে আটকে পড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যবস্থায় ভিসা দেয়ার জন্যও যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছেন আবদুল মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার দুপুরে এক বার্তায় এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন যে বিপুরসংখ্যক শরণার্থী গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে, তা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে পূরণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে ভিসা সাক্ষাৎকারের তারিখ পেতে বিপুলসংখ্যক ভিসা আবেদনকারী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ভিসা পেতে দেরি হওয়ার কারণে অনেকেই ভর্তি ও বৃত্তি হারাতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার জানান, লকডাউন পরিস্থিতির কারণে অনেক সাক্ষাৎকারের স্লট বাতিল করতে হয়েছিল, লকডাউন শেষ হওয়ার পরে ভিসা আবেদনকারী সব শিক্ষার্থী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাক্ষাৎকারের সুযোগ পাবেন।

তিনি বলেন, এ দেশের শিক্ষার্থীরা যেন সময়মতো যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের একাডেমিক সেশনে যোগ দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা জরুরি ও আন্তরিকতার সঙ্গে করা হবে।

জো বাইডেনের সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রশংসা করে মোমেন বলেন, 'বাইডেন প্রশাসন ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থীদের গ্রহণের সংখ্যা ২ লাখ আড়াই হাজার করেছে, ২০২২ সালে তা আরও সোয়া লাখ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।

‘আমেরিকা এর একটি বড় অংশ পূরণের জন্য বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গ্রহণ করার বিষয় বিবেচনা করতে পারে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। ছবি: নিউজবাংলা

মোমেন বলেন, ‘আমরা আশা করি বাংলাদেশের শিবিরগুলোতে মানবেতর জীবনযাপন করা রোহিঙ্গাদের জন্য আমেরিকার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া ভাসানচরে বসবাস শুরু করা রোহিঙ্গাদের পাশেও দাঁড়াবে যুক্তরাষ্ট্র।’

মিলার জানান, ২০২১ সালে জেনেভায় বার্ষিক যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা (জেআরপি) প্রবর্তনের সময় আমেরিকা রোহিঙ্গাদের মানবিক অভিযানে বৃহৎ অবদানের জন্য আবারও প্রতিশ্রুতি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার বিষয়ে চলমান তদন্তে বাংলাদেশের সহযোগিতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতও আশ্বাস দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন মোমেন।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী

নিজ দেশের সেনাবাহিনীর হাতে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক বছর ধরে বাংলাদেশে আসছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা। তবে রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বড় ঢল আসে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট।

ওই সময় সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসে। কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর চাপের মুখে পড়েও রোহিঙ্গাদের ফেরত নিচ্ছে না মিয়ানমার। উল্টো রোহিঙ্গাদের তাদের দেশের নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

অন্যদিকে রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে মেঘনা নদীর নোয়াখালী অংশে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

এ জন্য নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রায় ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গার বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রাম করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর