বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নাশিদের ওপর বোমা হামলায় বাংলাদেশের নিন্দা

  •    
  • ৭ মে, ২০২১ ১২:০৭

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে আইনের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নাশিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

মালদ্বীপের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বর্তমান স্পিকার মোহামাম্ম নাশিদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন শুক্রবার সকালে এক টুইটবার্তায় এ ঘটনায় নিন্দা জানান। পরে তা রিটুইট করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে আইনের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান। তিনি নাশিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে বৃহস্পতিবার সন্ধায় বোমা হামলায় মারাত্মক আহত হন নাশিদ। তার বাড়ির বাইরে এ ঘটনা ঘটে। তবে হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।

নাশিদ এডিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল। হামলার সময় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় নাশিদসহ আরও দুইজন আহত হন। বোমাটি মোটরবাইকে রাখা ছিল।

মালদ্বীপের মন্ত্রী আহমেদ মালুফ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে মোহাম্মদ নাশিদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। ওই সময় পাশের মোটরবাইকে বিস্ফোরণটি ঘটে। এটি নিঃসন্দেহে সন্ত্রাসী হামলা। হামলার ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। সরকার হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।’

মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান।

দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, নাশিদকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। আহত হলেও তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

ভারত মহাসাগরের দেশ মালদ্বীপে প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার সুন্নি মুসলমানের বাস। বিলাসবহুল অবকাশ যাপনের জন্য সুপরিচিত এই দেশটিতে প্রায়ই রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যায়। বৃহস্পতিবার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য সুপরিচিত সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে সশস্ত্র পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী।

নাশিদের ওপর হামলার পর অবকাশকালীন ছুটিতে থাকা পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশন ডাকা হয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সাবেক প্রেসিডেন্টের শরীরে বেশ কিছু ক্ষত তৈরি হয়েছে। তাকে অচেতন করে রেখেছেন চিকৎসকরা। হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি সাড়া দেন এবং ডাক্তারদের সঙ্গেও কথা বলেছেন।

২০০৮ সালে বহু দলের অংশগ্রহণে মালদ্বীপে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হন মোহাম্মদ নাশিদ। ২০১২ সালে এক অভ্যুত্থানে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। ২০১৫ সালে তাকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন তাকে চিকিৎসার জন্য মুক্তি দিলে তিনি যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে চলে যান। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে আসেন তিনি।

চীন থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেয়ায় ইয়ামিন প্রশাসনের কঠোর সমালোচনা করে আসছেন নাশিদ। ২০১৯ সালে নির্বাচনের পর তিনি দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার নির্বাচিত হন।

এ বিভাগের আরো খবর