এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভে পুলিশের ওপর হামলা মামলায় শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামকে নতুন করে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। তাকে চার দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত ৮ এপ্রিল নিজ বাড়ি নেত্রকোণা থেকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন মামলায় বেশ কয়েকবার রিমান্ডে নেয়া হয় উগ্রবাদী বক্তব্য দেয়া এই বক্তাকে। গত ১৮ এপ্রিল একই দিন তিন জেলার আদালত তাকে রিমান্ডে পাঠায়।
২৬ মার্চ মোদির সফরের আগের দিন রাজধানীর মতিঝিলে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মিছিলে যোগ দেন রফিকুলও। সে সময় ছয় ঘণ্টার জন্য তাকে আটকও করে পুলিশ।
সেই বিক্ষোভে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। আহত হন মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন।
এ ঘটনায় ২৬ মার্চ রাতে মতিঝিল থানায় মামলা করে পুলিশ।
‘শিশুবক্তা’ এবার আটক হয়েছেন গত ২৫ মার্চ মতিঝিলে পুলিশের ওপর সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের হামলার ঘটনায়। সেই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন তিনিও।
এই মামলায় গত ২১ এপ্রিল রফিকুলকে চার দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান ওই তারিখে তার রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
তবে অন্য মামলায় রিমান্ডে থাকায় রফিকুলকে এই মামলাতে রিমান্ডে নেয়া যায়নি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এক মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে রফিকুলকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ২১ এপ্রিলের আদেশ অনুযায়ী রিমান্ডে নেয়ার কথা জানানো হয়।
শিশুবক্তার উপস্থিতিতে সেদিন সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলে পড়েছিল
আদালতের মতিঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার সদস্য জাহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত
করেন। তিনি বলেন, ‘তাকে একটি মামলায় রিমান্ড শেষে ফেরত আনা হলে
আরেকটি মামলায় চার দিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছে ডিবি পুলিশের জোনাল টিম ।’
এ সময় রফিকুলের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না ।