দুর্নীতি নিয়ে ঢালাও অভিযোগ না করে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, প্রমাণ পেলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শূন্য সহনশীল নীতিতে বিশ্বাসী বলেও জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন কাদের। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে প্রণোদনা নিয়ে কোথায় দুর্নীতি হচ্ছে বা কারা দুর্নীতি করছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ দিন। প্রণোদনা নিয়ে কেউ অপকর্ম করলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
‘দুর্নীতির ব্যাপারে শেখ হাসিনা শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অবলম্বন করে যাচ্ছেন, দলীয় পরিচয়ের কাউকেও তিনি ছাড় দিচ্ছেন না।’
দলের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক উপকমিটির আলোচনায় ত্রাণ বিতরণ নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদেরও সতর্ক করেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে গিয়ে কোনোভাবেই যেন বদনাম না হয় সেদিকে নেতা-কর্মীদের খেয়াল রাখতে হবে।’
সরকারের বিরুদ্ধে অবান্তর অভিযোগ না এনে করোনা মোকাবিলায় সচেতন হতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘করোনা বেগম খালেদা জিয়াকেও ছাড় দেয়নি তাই এই অদৃশ্য শক্তিকে মোকাবিলা করতে হলে বিএনপিকে দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেও মনে করেন কাদের। বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার জনগণের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষায় যা করছে জনগণও তা ভালো করে জানে।’
করোনা মোকাবিলায় সকলকে মাস্ক পরতে অনুরোধ জানান তিনি। কাদের বলেন, ‘সবাইকে শতভাগ মাস্ক পরিধান করা নিশ্চিত করতে হবে। দলের নেতা-কর্মীদের সারা দেশে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে সচেতনতার দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।’
ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর তৃতীয় ঢেউয়ের আঘাত আসতে পারে বলেও উল্লেখ করেন সড়কমন্ত্রী । বলেন, ‘তৃতীয় ঢেউ আরও ভয়াবহ হতে পারে, তাই যতই সীমাবদ্ধতা থাক না কেন সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’