বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাপের কারণে শহরে গণপরিবহন চালু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৬ মে, ২০২১ ১৩:৪৭

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন বা বিধিনিষেধ ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বাড়ানোয় ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিভিন্ন মহলের চাপে গণপরিবহন রাজধানী ও জেলার মধ্যে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এসব গণপরিবহন বন্ধ রাখা হবে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন মহলের চাপে গণপরিবহন রাজধানী ও জেলার মধ্যে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

‘করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় করণীয় এবং অক্সিজেন সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এম এ মুবিন খান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন বা বিধিনিষেধ ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বাড়ানোয় ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিভিন্ন মহলের চাপে গণপরিবহন রাজধানী ও জেলার মধ্যে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এসব গণপরিবহন বন্ধ রাখা হবে।’

বিভিন্ন এলাকায় ভ্রমণের কারণে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে মাসে সংক্রমণ বেড়েছে, সেই মাসে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি প্রায় ২৫ লাখ মানুষ বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেছে।

‘বিয়ে-শাদি, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ওয়াজ মাহফিল ও হেফাজতের দৌড়াদৌড়ি দেখলাম, যে কারণে সংক্রমণ বেড়ে গেল। হাসপাতালে রোগী ভর্তি বেড়ে গেল। অক্সিজেনের চাহিদাও বেড়ে গেছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত এক বছর ধরে আমরা করোনা মোকাবেলা করে আসছি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করে আসছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখনও কিছু সংক্রমণ ও মৃত্যু হার কমে আসছে।

‘৪ হাজার চিকিৎসককে টেলিমেডিসিন সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। তারা এখনও দিয়ে যাচ্ছেন। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নো মাস্ক ও নো সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটার মাধ্যমেও সংক্রমণ অনেক কমে আসছে।’

ভারত থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের করোনা সংক্রমণ বাড়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের সর্তক হতে হবে।

‘ভারতেও করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে তারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে করোনার মধ্যে নির্বাচন, হোলি খেলা, বিয়ে অনুষ্ঠান করেছে।’

তিনি বলেন, ‘তারা সঠিক সময়ে টিকা নিশ্চিত করতে পারেনি যে কারণে সংক্রমণ বেড়েছে। এ থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত।’

সভায় আরও অংশ নেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসচিব আলী নূর, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ।

এ বিভাগের আরো খবর