বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২ কোটি টিকা চায় বাংলাদেশ

  •    
  • ৬ মে, ২০২১ ১৩:১৫

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের সঙ্গে বৈঠকে এ চাহিদার কথা জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে মন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত টিকা পেলে পাবে বাংলাদেশও।

টিকাদান কার্যক্রম চালু রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জরুরি ভিত্তিতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার এক থেকে দুই কোটি ডোজ চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের সঙ্গে বৈঠকে এ চাহিদার কথা জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত টিকা পেলে পাবে বাংলাদেশও।

মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমরা জরুরি ভি‌ত্তি‌তে ১০ থেকে ২০ মি‌লিয়ন (এক থেকে দুই কোটি) ডোজ টিকা চেয়েছি। বৈঠকে আমরা বলেছি, যখন অন্যান্য দেশকে করোনার টিকা দেয়া হবে, তখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেন আমাদেরও দেয়া হয়। রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার বলেছেন, উনি চেষ্টা করছেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যত দ্রুত পারা যায় আমাদের টিকা দিতে আমেরিকাকে অনুরোধ জানিয়েছি। আমরা চিঠিতে ৪ মিলিয়ন টিকা চেয়েছি। এবার ১০ থেকে ২০ মিলিয়নের কথা বলেছি। বেশি বলতে তো সমস্যা নাই; যা পাওয়া যায়।

‘রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, সঠিক দিনক্ষণ দেয়া যাবে না। কিন্তু এ নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। আমরা জেনেছি, তাদের কাছে ৬০ মিলিয়নের মতো টিকা পড়ে আছে। আমরা আমাদের দেশে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে তাদের কাছে জরুরি ভিত্তিতে টিকা চেয়েছি।’

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূত টিকা পেতে কাজ করছেন বলেও জানান মোমেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা। এ জন্য আমরা চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে কনট্রাক্ট করেছি। এটা বেশ অগ্রসর হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এটা নিয়ে কাজ করছে।’

ভারত থেকেও জরুরি ভিত্তিতে টিকা চাওয়া হয়েছে বলে জানান মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের আশাও ছেড়ে দিইনি। তাদেরও আমরা টিকা পাঠাতে বলেছি।’

দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া উৎপাদিত টিকা দিয়ে। তবে হঠাৎ ভারতের এ প্রতিষ্ঠান টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় ডোজ সংকটে পড়ে দেশ। এমন বাস্তবতায় চীন ও রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ।

এর আগে বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজকের বৈঠক সম্পর্কে বলেছিলেন, বৈঠকটিতে যুক্তরাষ্ট্রের টিকা বিষয়ে আপডেট দিতে পারেন মিলার।

নিজ সরকারি বাসভবনে বুধবার মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি অ্যাস্ট্রাজেনেকা আনতে। তবে এখনও কোনো আপডেট নাই। অনেকে বলেছিল ইউরোপের অনেক দেশের কাছে টিকাটি আছে। তারা ব্যবহার করছে না। এ রকম মনে হয় সাতটা দেশ। আরও হয়তো দুই-একটা আছে।

‘আমরা ওই সব দেশে কনটাক্ট করে যাচ্ছি। তবে তাদের টোটাল খুব কম। কোনো দেশের আছে ২০ হাজার। একটি দেশে আছে মনে হয় দুই লাখ। আমার তো দিনেই লাগে দুই লাখ। তার ওপর আরও মানুষ ওই সব টিকার জন্য লাইন ধরে আছে। তো এটা নট ভেরি ব্রাইট।’

মন্ত্রী বলেন, ‘একেক দেশ থেকে ১০, ২০ হাজার করে আনব। এটা নট ব্রাইট গুড। দ্বিতীয় হলো আমেরিকা। আমেরিকা বলেছে তাদের ৬০ মিলিয়ন (৬ কোটি) ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা আছে। তারা ব্যবহার করছে না। আমি সঙ্গে সঙ্গে তাদের রিকোয়েস্ট করেছি। তাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি।

‘আমাদের রাষ্ট্রদূত তাদের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছে৷ তারা কমিটেড অ্যান্ড ডিসাইডেড যে তারা আমাদের দিবে।’

মন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আসবেন দেখা করতে। হয়তো কাল আমাকে আপডেট জানাবেন। কিন্তু শুনলাম তারা নাকি দুই দেশকে প্রায়োরিটির তালিকায় রাখছে। একটা ভারত; অন্যটা ব্রাজিল। কারণ, দেশ দুটিতে প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ভারতীয়রা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওপর খুউব জোর-জবরদস্তি করছে সব টিকা ইন্ডিয়াকে দেয়ার জন্য।

‘ইন্ডিয়ান কমিউনিটি যুক্তরাষ্ট্রে অনেক শক্তিশালী। তারা গত নির্বাচনে অনেক টাকা দিয়েছে। তবে আমাদের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছে, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) টিকার সঙ্গে অক্সিজেনও পাঠাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর