বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুপ্রিম কোর্ট বারে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

  •    
  • ৫ মে, ২০২১ ২২:০১

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়। এরপর শূন্য পদ পূরণে মঙ্গলবার বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করে সমিতি। সাধারণসভার শুরুতেই সহ-সভাপতি শফিক উল্লাহ সভাপতি হিসেবে এ এম আমিন উদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়। এ সময় আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা এই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন করেন। এ সময় বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করে। পরে সভা মূলতবি ঘোষণা করা হয়।

সাবেক সভাপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ঘোষণা গঠনতন্ত্র বিরোধী বলে জানিয়েছেন সমিতির বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন সভাপতি ঘোষণা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যথাযথ হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়। এরপর শূন্য পদ পূরণে মঙ্গলবার বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করে সমিতি। সাধারণসভার শুরুতেই সহ-সভাপতি শফিক উল্লাহ সভাপতি হিসেবে এ এম আমিন ‍উদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়। এ সময় আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীরা এই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন করেন। এ সময় বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করে। পরে সভা মূলতবি ঘোষণা করা হয়।

আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীদের সভাপতি ঘোষণার প্রতিবাদে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির (২০২১-২২) সভাপতি, সিনিয়র অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু গত ১৪ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন। এ কারণে সমিতির সভাপতির পদ শূন্য হয়। সমিতির গঠনতন্ত্রের ১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি পদ পূরণের বিধান রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কোনো আলোচনা ও সিদ্ধান্ত ছাড়াই সম্পাদক সভার কাজ মুলতবি ঘোষণা করেন। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সভা মুলতবি করার পরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদকসহ সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করে করণীয় নির্ধারণ করে নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতির পদ পূরণ করার।

‘কিন্তু আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে লক্ষ করলাম, কার্যকরী কমিটির সহ-সভাপতি জনাব মুহাম্মদ শফিক উল্যা পরবর্তীতে অতি উৎসাহী হয়ে সমিতির সভাপতির কক্ষে নিজেই সমিতির সদ্য সাবেক সভাপতিকে ২০২১-২২ সালের বাকি মেয়াদের জন্য সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করেন।

‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর আগেই বিশেষ সাধারণ সভা সম্পাদক স্থগিত করেছেন, কোনো ধরনের আলোচনা কিংবা সেখানে সভাপতি পদে কোনো নির্বাচন হয়নি। এ ছাড়া বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছিল সভাপতি পদ পূরণে করণীয় নির্ধারণের জন্য নির্বাচনের জন্য নয়।

‘দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। আমরা প্রতিনিয়ত গণতন্ত্র চর্চা করি। গণতান্ত্রিক চর্চার প্রক্রিয়া হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবীরা আমাদেরকে নির্বাচিত করেছেন স্ব স্ব পদে। সুতরাং সমিতির কার্যক্রম নির্বাচিতদের মাধ্যমে পরিচালিত হবে এটিই সকলের প্রত্যাশা।

‘কোনো অনির্বাচিত ব্যক্তির মাধ্যমে সমিতির কার্যক্রমে পরিচালিত হতে হবে এটি কোনো সদস্য প্রত্যাশা করেন না। সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতির শূন্য পদ নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সমিতির সহ-সভাপতি জনাব মুহাম্মদ শফিক উল্যা যে ঘোষণা দিয়েছেন এটি সমিতির গঠনতন্ত্রবিরোধী।’

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন, সহ-সম্পাদক মাহমুদ হাসান, কার‌্যকরী কমিটির সদস্য রেদওয়ান আহমেদ রানজীব ও পারভিন কাউসার মুন্নি উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে করে সহ-সভাপতি শফিক উল্লাহ বলেন, ‘বারের গঠনতন্ত্র ১৬ ধারা অনুযায়ী সভাপতি পদে যেভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে, তা যথাযথ। বিশেষ সাধারণ সভায় এ এম আমিন ‍উদ্দিনের নাম প্রস্তাব করা হয়, সেখানে অন্য কারও নাম উচ্চারণ না হওয়ায় তিনি সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।’

সভাপতি পদে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরসরি এ পর্যায়ে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সুযোগ গঠনতন্ত্রে নেই।

এ বিভাগের আরো খবর