ঈদযাত্রা যেন অন্তিমযাত্রায় পরিণত না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ এবং অসহায়-দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্যসহায়তা দেয়ার অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লকডাউনে অনেকেই চোরাই পথে আসা-যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন, সম্প্রতি পদ্মায় স্পিডবোটডুবিতে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সরকারকে ফাঁকি দেয়া যায় কিন্তু মৃত্যুকে ফাঁকি দেয়া যায় না। এ ধরনের ঝুঁকি নিলে উৎসবের আগেই মৃত্যুর ট্র্যাজেডি অনিবার্য হয়ে পড়ে, কাজেই এ ধরনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল না করতে সবাইকে অনুরোধ করছি।
‘সবাইকে মনে রাখতে হবে, আগে জীবন পরে জীবিকা, তাই উৎসব আনন্দের কী দাম আছে, যদি জীবন থেকেই দূরে সরে যেতে হয়। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক উৎসব-আনন্দ করা যাবে। ঈদযাত্রা যেন অন্তিমযাত্রায় পরিণত না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নজির স্থাপন করেছেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে দুর্যোগ-দুর্বিপাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন, ৭৫ পরবর্তীকালে কোনো সরকারপ্রধান বা রাজনৈতিক নেতা এমন নজির স্থাপন করতে পারেননি।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটা দল সরকারের বিরুদ্ধে গলাবাজি করছে। তাদের কোনো কাজ নেই। করোনার এই দুঃসময়ে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, এমন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি, কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তা করে দেখিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে দলীয় নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন কিন্তু একটা দল ঢাকায় বসে শুধু লিপ সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। তারা একেক সময় একেক আন্দোলনের ওপর ভর করে ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতায় লিপ্ত, তারা করোনার এই সংকটের সময়ও সহিংসতার উসকানি দিচ্ছে।
‘যারা ভাসমান, ঘরবাড়ি নেই তাদের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং বিতরণের সময় সবাইকে একটি করে মাস্ক বাধ্যতামূলক দিতে হবে।’
এ সময় সারা দেশে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রচার চালানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।