বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদ পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন

  •    
  • ৫ মে, ২০২১ ১২:৩১

মন্ত্রিপরিষদের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দূরপাল্লা বা আন্তনগর বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হলেও খুলে দেয়া হচ্ছে শহরকেন্দ্রিক বাস। ৬ মে থেকে জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলাচলে আর বাধা নেই।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান লকডাউন ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যার অর্থ চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেই কাটবে এবারের ঈদুল ফিতর।

সরকারের এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, দূরপাল্লা বা আন্তনগর বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হলেও খুলে দেয়া হচ্ছে শহরকেন্দ্রিক বাস। ৬ মে থেকে জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলাচলে আর বাধা নেই।

প্রজ্ঞাপনে রয়েছে যেসব নির্দেশনা:

০১. সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে স্ব-স্ব কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন।

০২. দোকানপাট ও শপিং মলগুলো পূর্বের মতো সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। সকল দোকানপাট ও শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় দোকানপাট ও শপিং মল তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে।

০৩. আন্তজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে ৫ মের পর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। উল্লেখ্য, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল আগের মতোই বন্ধ থাকবে।

০৪. মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

০৫. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।

০৬. কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন, জেলা সদর, পৌরসভা এলাকাগুলোতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, পৌরসভায় মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। শুরুতে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হলেও পরে মহানগরগুলোতে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়।

শেষ দিকে এসে সময় বেঁধে দিয়ে দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত আসে। পরে সরকার আরও দুই দিনের জন্য বিধিনিষেধের সময় বাড়ায়।

কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল ‘কঠোর’ বিধিনিষেধসহ ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন আরোপ করা হয়। পরে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ায় সরকার।

এর মধ্যে আরও এক দফা বাড়িয়ে লকডাউনের মেয়াদ করা হয় ৫ মে মধ্য রাত পর্যন্ত। তা শেষ হওয়ার দুই দিন আগে ১৬ মে পর্যন্ত এই লকডাউন বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত জানাল সরকার।

কঠোর লকডাউন নিশ্চিতে আরোপ করা হয় ১৩ দফা বিধিনিষেধ। তবে ঈদ ঘিরে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং মানুষের জীবন-জীবিকা বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিং মল, দোকানপাট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শপিং মল ও দোকানপাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় ২৫ এপ্রিল থেকে।

শপিং মল ও দোকানপাটগুলোতে কেনাকাটানায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত না করা হলে ‘স্ট্রং অ্যাকশন’ নেয়ার নির্দেশ রয়েছে সরকারের।

এ বিষয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘পুলিশ, সিটি করপোরেশন, ম্যাজিস্ট্রেট এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তারা দেশের প্রত্যেক মার্কেটগুলোতে সুপারভাইজ করবে। মাস্ক ছাড়া যদি মানুষ ঘোরাফেরা করে প্রয়োজনে আমরা সেসব মার্কেট বন্ধ করে দেব। ক্লিয়ারলি এটা বলে দেয়া হয়েছে।

‘দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এ বিষয়ে আমাদের কো-অপারেট করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। তারা নিজেরাও বিষয়টা সুপারভাইজ করবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর