আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটির মধ্যে করোনারোধী টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সরকারি এই সংস্থাটির মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরে সরকার থেকে বেঁধে দেয়া তিন দিনের ছুটিতে সব ধরনের গণটিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এ বিষয়ে একটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ঈদের ছুটির দিনগুলোতে গণটিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রাখা হবে।
এদিকে আসন্ন ঈদুল ফিতরে তিন দিনের বেশি ছুটির অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ঈদের তিন দিন বাদে কোনো প্রতিষ্ঠানই অতিরিক্ত ছুটি দিতে পারবে না।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ছুটির দিনের মতো আগামী ঈদেও বন্ধ থাকবে টিকাদান কার্যক্রম। আমরাও এটা বন্ধ রাখব।’
সিরাম উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়েই চলছে টিকাদান কর্মসূচি। গতকাল পর্যন্ত প্রথম ডোজ নিয়েছে ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭০৯ জন। গতকাল পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ৩০ লাখ ২৩ হাজার ১৭৯ জন। প্রতিদিন প্রায় দেড় লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিচ্ছে । সেই হিসেবে আগামী এক সপ্তাহ টিকাদান চলবে।
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে করোনা টিকার ৩ কোটি ডোজ কিনতে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। এর আওতায় দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে।
ভারত সরকারের দুই দফা উপহারের ৩২ লাখ ডোজ মিলে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা আসে দেশে। যে টিকা এখন হাতে আছে, তা দিয়ে সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে ঘাটতি আছে এখনও ১৩ লাখের বেশি।
চীন ও রাশিয়ার কাছে থেকে কবে টিকা পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি সরকার। চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি এখনও। এই টিকা দেশে এলে আগে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা হবে। এরপর শুরু হবে গণটিকাদান কর্মসূচি।