নগদ অর্থ ও খাদ্যসহায়তা বিতরণে কেউ অপকর্ম ও অনিয়ম করলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মুখ দেখে নয় বরং প্রকৃত অসহায় মানুষকে সাহায্য পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সহায়তা যেন বেহাতে না যায় সে ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে নিজ বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ত্রাণ নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, ‘অসহায় কর্মহীন, খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ ও খাদ্যসহায়তা দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ বা দলীয় নেতা-কর্মীদের আত্মীয়স্বজন দেখে নয়, বরং নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া পরিবারের তালিকা করে এবং যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে এসব সাহায্য দেয়া হচ্ছে।
‘মুখ দেখে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। নগদ অর্থ ও খাদ্যসহায়তা এবার যেন কোনোভাবেই বেহাতে না যায় সে ব্যাপারেও কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নগদ অর্থ ও খাদ্যসহায়তা বিতরণে কেউ অপকর্ম ও অনিয়ম করলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে।’
ব্রিফ্রিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমকে নিজের মতো করে নিয়েছে বলে বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ। কিন্তু গণমাধ্যমের ওপর সরকারের যদি নিয়ন্ত্রণই থাকবে, তাহলে প্রতিদিন তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার আর মিথ্যাচার করে কেমন করে? আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপি এখনও টিকে আছে স্বাধীন গণমাধ্যম আছে বলেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলা বিএনপির মুখে শোভা পায় না। ক্ষমতায় থাকতে তারা ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের কলঙ্কিত অধ্যায় এ দেশে সৃষ্টি করেছে।
‘বিএনপি নেতারা পূর্ণিমার আলো ঝলমল রাতেও অমাবশ্যার অন্ধকার দেখতে পান। নির্বাচন ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করার রেকর্ডে বিএনপি চ্যাম্পিয়ন। তারা ১ কোটি সোয়া লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে আজিজ মার্কা প্রহসনের নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছিল, যার কারণে দেশে এক এগারোর মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মাগুরা ও ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে জালিয়াতির কথা দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। বিএনপির আমলে সকাল ১০টার মধ্যেই ভোট প্রদান শেষ করে দেয়া হয়েছিল, তখন চট্টগ্রামের একটি কেন্দ্রে ভোট গণনার আগেই চূড়ান্ত ফলাফল রেডিও, টিভিতে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা মহামারিতে শেখ হাসিনা সরকার দিনরাত মানুষের চিকিৎসা, সংক্রমণ রোধ এবং অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। শ্রমিকদের কর্মসংস্থান অব্যাহত রেখে কর্মহীনদের সুরক্ষায় আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। অথচ বিএনপি শুধু তাদের কথাই বলে যাচ্ছে।
এই সংকটকালে জনগণের জীবন ও জীবিকার মাঝে ভারসাম্য তৈরিতে সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা না করে তারা তোতা পাখির মতো শেখানো বুলি অবিরাম আওড়িয়ে যাচ্ছে। মিথ্যাচার এখন তাদের একমাত্র অস্ত্র।’