প্রতারণা ও অবৈধভাবে বিটকয়েন ব্যবসার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিউদ্দিন মিয়া মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে ১০ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক মইনুল ইসলাম তাদের তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
আসামিদের পক্ষে আইনজীবী শাখাওয়াত হোসেনসহ কয়েকজন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
রিমান্ডের আদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে সুমন, আবুল বাশার রুবেল, আরমান পিয়াস, রায়হান আলম সিদ্দিকি, মো. জোবায়ের, মেহেদী হাসান রাহাত, মেহেদী হাসান, রাকিবুল হাসান, রাকিবুল ইসলাম, সোলাইমান ইসলাম, মো. জাকারিয়া ও আরাফাত হোসেন।
গত রোববার গভীর রাতে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকার বেসিক বিজ মার্কেটিং নামের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব-১ সদস্যরা।
র্যাবের ভাষ্য, অভিযানে বাংলাদেশে অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার হোতা ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমনসহ ১২ জনকে আটক করা হয়।
অভিযান চলাকালে তাদের কাছ থেকে ২৯টি ডেস্কটপ, তিনটি ল্যাপটপ, ১৫টি মোবাইল, একটি ট্যাবলেট ও ব্যবসা সংক্রান্ত বিবিধ নথিপত্র বা কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, কয়েন সুমন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেন। ২০১৩ সালে ছোট্ট একটি দোকানে শিশুদের খেলনা ও কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। সেখান থেকেই তিনি শুরু করেন বিট কয়েনের ব্যবসা। গড়ে তোলেন বেসিক বিজ মার্কেটিং নামে অনলাইন আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান। আর এর আড়ালে অবৈধভাবে বিট কয়েনের ব্যবসা ও বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করছিলেন সুমন।
অভিযানে ১২ জনকে আটকের পর অনলাইনে প্রতারণা ও অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার অভিযোগে বাড্ডা থানায় মামলা করে র্যা্ব।
ওই মামলায় আটকদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।