চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে আপাতত ৫ লাখ টাকা করে দিতে এস আলমকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এসব আদেশ দেয়।
বাঁশখালীর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করে আদালত। পাশাপাশি সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে জমার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নিহত ও আহতদের কী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে ৪৫ দিনের প্রতিবেদন দিতে বলেছে উচ্চ আদালত।
বাঁশখালীর ঘটনায় বেলাসহ কয়েকটি সংগঠন মিলে একটি এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র একটি রিট করে। দুটি রিটের একত্রে শুনানি নিয়ে আজ হাইকোর্ট এসব আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ও সৈয়দা নাসরিন। এস আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আরশাদুর রউফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও অরবিন্দ কুমার রায়।
নিহত শ্রমিকদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত ১৮ এপ্রিল আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
গত ১৭ এপ্রিল শনিবার চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ৫ শ্রমিক নিহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ওই দিন বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছিলেন বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আজিজুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছিলেন, বকেয়া বেতন পরিশোধসহ বেশ কিছু দাবিতে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট নামের ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকরা সকাল থেকে আন্দোলন করছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সেখান গিয়ে তাদের ওপর গুলি চালায়।