ঈদের কেনাকাটায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের ব্যবস্থা না রাখায় রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স শপিংমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দোকানি ও শপিং করতে আসাদের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করা হয়েছে। করা হয়েছে বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানা।
মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ রফিকুল হক।
দুপুর দেড়টার দিকে অভিযান শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, অভিযানে মোট ১৭টি মামলা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে মোট সাড়ে ৫ হাজার টাকা। জরিমানার মধ্যে সর্বোচ্চ অঙ্ক, ১০০০ টাকা, সর্বনিম্ন ৫০ টাকা।
অভিযান চলাকালে ম্যাজিস্ট্রেট যেই ফ্লোরে যাচ্ছিলেন, সেই ফ্লোরেই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছিল। অভিযানে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন কি না, নিউজবাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল বলেছিলেন, ‘আপনারা তো দেখতে পারছেন। এটা কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারবে কেন বিদ্যুৎ নেই। তবে আমি আমার অভিযান পরিচালনা করে যাব।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এদিন দুপুর ১২টার দিকে পল্টনের চায়না টাউন মার্কেট বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে বন্ধ করা হয়েছে চায়না শপিংমল।’
ঈদ উপলক্ষে লকডাউন শিথিল করে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেয়া হলেও কেনাকাটায় যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় সে ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে সরকারের।
এ ব্যাপারে সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। যদি না পরে তাহলে আমরা এখন স্ট্রং অ্যাকশনে যাব।’
স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পল্টনের চায়না টাউন মার্কেট। ছবি: সাইফুল ইসলাম
স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা সরেজমিনে তা যাছাইয়ে সোমবার থেকেই দেশজুড়ে শপিংমলগুলোতে পুলিশ, সিটি করপোরেশন ও প্রশাসন মাঠে নামার কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
‘পুলিশ, সিটি করপোরেশন, ম্যাজিস্ট্রেট এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তারা দেশের প্রত্যেকটা মার্কেটগুলোতে সুপারভাইজ করবে। মাস্ক ছাড়া যদি মানুষ ঘোরাফেরা করে প্রয়োজনে আমরা সেসব মার্কেট বন্ধ করে দেব। ক্লিয়ারলি এটা বলে দেয়া হয়েছে।
‘দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এ বিষয়ে আমাদেরকে কো-অপারেট করবে বলে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। তারা নিজেরাও বিষয়টা সুপারভাইজ করবেন।’