হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
পল্টন থানায় করা দুটি ভাঙচুর ও সহিংসতার মামলায় তাকে মঙ্গলবার একটিতে দুই দিন ও আরেকটিতে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম সত্যব্রত শিকদার।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে মামুনুল হককে আদালতে নেয় পুলিশ। ১২টা ৫ মিনিটে তাকে শুনানির জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়।
রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন মামুনুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। শুনানিতে তিনি আদালতে বলেন, ‘আসামি দীর্ঘদিন রিমান্ডে থেকে অসুস্থ হয়ে গেছেন, তাই তাকে রিমান্ড বাতিল করে জামিন দেয়া হোক।’
শুনানি শেষে বিচারক সত্যব্রত শিকদার মামুনুলকে দুই মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এ ছাড়া মামুনুল হককে আরও দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হলে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে গত ২৬ মার্চ বিক্ষোভ থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এরপর সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগ পল্টন থানায় তিনটি মামলা করে পুলিশ।
এর আগে মামুনুলকে তিন মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ।
১৯ এপ্রিল মামুনুলকে মোহাম্মদপুর থানায় ভাঙচুরের মামলায় সাত দিন রিমান্ডের আদেশ দেয় আদালত।
প্রথম দফার রিমান্ডে শেষে ২৬ এপ্রিল মামুনুলকে আদালতে নেয় পুলিশ। সেদিন ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা মামলায় তিন দিন এবং মোদিবিরোধী আন্দোলনের সময় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনায় পল্টন থানার করা মামলায় আরও চার দিনের হেফাজতে নেয়ার আদেশ দেয় আদালত।
একই আদালত হেফাজত ইসলামের আরেক নেতা মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবের পল্টন থানার পৃথক তিন মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন বিচারক।
জুনায়েদ আল হাবীবের বিরুদ্ধে পল্টন থানার পৃথক তিন মামলায় জিজেজ্ঞাবাদের জন্য ২৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এরমধ্যে দুই মামলায় সাতদিন করে ১৪ দিন এবং অপর এক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে আদালত দুই মামলায় এক দিন করে দুই দিন এবং অপর এক মামলায় দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন।