করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পল্টনের চায়না টাউন মার্কেট বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মার্কেটটি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির একটি দল। সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে বন্ধ করা হয়েছে চায়না শপিং মল।
‘গত কয়েক দিন এই মার্কেটের সমবায় সমিতি স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সবাইকে অনুরোধ করে আসছিল। কয়েক দফা বলার পরও তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছিল না। এরপর গতকাল (সোমবার) বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিকে বিষয়টি জানায় সমবায় সমিতি। দোকান মালিক সমিতি এই অভিযোগের সত্যতা পায় এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করে। আজকে এসে দেখা যায় আগের মতোই চলছে সবকিছু। এরপর মার্কেটটি বন্ধ করে দেয়া হয়।’
এ সময় দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব জহুরুল হক ভুঁইয়া এবং এই মার্কেটের সভাপতি রওনক উপস্থিত ছিলেন।
ঠিক ওই সময়টাতেই রাজধানীর আরেক শপিং মল বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা যাচাইয়ে অভিযান চালায় ঢাকা মেট্রোপলিটনের নির্বাহী মেজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি দল।
ঈদ উপলক্ষে লকডাউন শিথিল করে শপিং মল ও দোকানপাট খুলে দেয়া হলেও কেনাকাটায় যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়, সে ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে সরকারের।
এ ব্যাপারে সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। যদি না পরে তাহলে আমরা এখন স্ট্রং অ্যাকশনে যাব।’
অভিযান চালানো হয় রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সেও। ছবি: নিউজবাংলাস্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, সরেজমিনে তা যাছাইয়ে সোমবার থেকেই দেশজুড়ে শপিং মলগুলোতে পুলিশ, সিটি করপোরেশন ও প্রশাসন মাঠে নামার কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
‘আজকে (সোমবার) থেকে পুলিশ, সিটি করপোরেশন, ম্যাজিস্ট্রেট এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তারা দেশের মার্কেটগুলোতে সুপারভাইজ করবে। মাস্ক ছাড়া যদি মানুষ ঘোরাফেরা করে প্রয়োজনে আমরা সেসব মার্কেট বন্ধ করে দেব। ক্লিয়ারলি এটা বলে দেয়া হয়েছে।
‘দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এ বিষয়ে কো-অপারেট করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তারা নিজেরাও বিষয়টা সুপারভাইজ করবেন।’