সমুদ্রে সংঘটিত অপরাধ ও দুর্ঘটনা রোধে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড বা ১১০ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘টেরিটরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস (সংশোধন) আইন, ২০২১’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এ দিন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর আমলে একটা আইন ছিল টেরিটরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস আইন, ১৯৭৪। যেহেতু আইনটি অনেকদিন আগের, যেহেতু আমাদের অনেক নতুন কনটেক্সট আসতেছে ব্লু ইকোনোমিসহ, সেজন্য এটার অনেকটা অ্যামেন্ডমেন্টের প্রয়োজন ছিল।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুরনো আইনটি বাতিল না করে বরং এটি যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান সচিব।
বেশ কয়েকটা মন্ত্রণালয় মিলে আইনটি বাস্তবায়ন করতে হবে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘নৌ পরিবহন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি- সবারই কিছু কিছু কাজকর্ম করতে হবে। এইগুলো তখনকার পারসেপশনে আমাদের ছিল না।’
মন্ত্রিপরিষদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সমুদ্রে সংঘটিত অন্যান্য অপরাধ ও দুর্ঘটনা সংক্রান্ত ২ থেকে ২০ বৎসর বা ২ থেকে ১১০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।’
বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো অপর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগের আইনে সামুদ্রিক দূষণের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান ছিল। যা সংশোধিত আইনে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন দুই কোটি টাকা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।’