ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেনকে আবার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী সোমবার দুপুরে এ আদেশ দেন।
রাজধানীর শাহবাগ থানায় বিস্ফোরক আইন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
আখতারের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির রিমান্ড আবেদন বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ১৭ এপ্রিল দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন আসামি ছিনতাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই সাইফুল ইসলাম খান ।
এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
অপরদিকে আখতার আইনজীবী শিশির মনির জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ১৪ এপ্রিল আখতারকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।
আসামি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে শাহবাগ থানায় করা মামলায় তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম খান ।
ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
ডাকসুর সাবেক নেতা আখতারকে শাহবাগ থানা এলাকা থেকে গত ১৩ এপ্রিল রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৫ মার্চ মতিঝিল থানায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ একটি মিছিল বের করে। সেই মিছিলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। আটক ওই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ চিকিৎসা দিতে নিলে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কর্মীরা তাকে ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় একই দিন শাহবাগ থানায় মামলা করেন পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রায়হান কবির। মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, বর্তমান সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান, সোহরাব, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।
এরপর আখতারকে শাহবাগ থানায় করা বিস্ফোরক আইন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে করা পৃথক এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সেই মামলায় তাকে দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দেয় আদালত ।