ঈদ উপলক্ষে ব্যবসা-বাণিজ্য ঘিরে লকডাউন শিথিল করা হলেও চলাফেরায় মাস্ক পরা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ‘স্ট্রং অ্যাকশন’ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে।
সচিবালয়ে সোমবার বৈঠক শেষে এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। যদি না পরে তাহলে আমরা এখন স্ট্রং অ্যাকশনে যাব।’
স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না সরেজমিনে তা যাছাইয়ে সোমবার থেকেই দেশজুড়ে শপিংমলগুলোতে পুলিশ, সিটি করপোরেশন ও প্রশাসন মাঠে নামবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
‘আজকে থেকে পুলিশ, সিটি করপোরেশন, ম্যাজিস্ট্রেট এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তারা দেশের প্রত্যেকটা মার্কেটগুলোতে সুপারভাইজ করবে। মাস্ক ছাড়া যদি মানুষ ঘোরাফেরা করে প্রয়োজনে আমরা সেসব মার্কেট বন্ধ করে দেব। ক্লিয়ারলি এটা বলে দেয়া হয়েছে।
‘দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এ বিষয়ে আমাদেরকে কো-অপারেট করবে বলে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। তারা নিজেরাও বিষয়টা সুপারভাইজ করবেন।’
চলমান লকডাউন আরও এক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজকের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে লকডাউন যেটা আছে, ঈদ তো ১৪ তারিখ, ১৬ তারিখ পর্যন্ত এভাবে কন্টিনিউ করবে।’
আর গণপরিহন চালুর পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন উইদিন দ্য ডিস্ট্রিক্ট চলাফেরা করতে পারবে। ৬ তারিখ থেকে গণপরিবহন চলবে। আন্তজেলা পরিবহন বন্ধ থাকবে। মানে হলো কেউ চট্টগ্রাম যেতে হলে চার-পাঁচবার গাড়ি পরিবর্তন করতে হবে। লঞ্চ এবং ট্রেন বন্ধ থাকবে। যেহেতু এগুলো আন্তজেলা পরিবহন করে সুতরাং ওগুলোও বন্ধ থাকবে।’
এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিন দিনের বেশি ছুটি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে যে, কোনো বন্ধ দেয়া যাবে না। সরকারি বন্ধ এমনি তিনদিন। তিন দিনের দুদিন শুক্রবার ও শনিবার পড়ছে। আরেকদিন বৃহস্পতিবার।
‘প্রাইভেট বা ইন্ডাস্ট্রি এ সময় বন্ধ দিতে পারবে না। ফলে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনি এ তিন দিনের বাইরে কোনো বন্ধ থাকবে না।’