করোনা মহামারির সময়ে সরকারের দেয়া ত্রাণ ও অর্থ সহায়তা নিয়ে কোনো অনিয়ম করলে ছাড় দেয়া হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও নগদ অর্থ সাহায্যের প্রস্তাবে এবারের ঈদে ৩৬ লাখ পরিবারের জন্য দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় অর্থ সাহায্য পৌঁছে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা এই অর্থ বিতরণে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে গতবার অনেক অভিযোগ এসেছিল এবং অনেককে শাস্তি পেতে হয়েছে। এমনকি অনেক জনপ্রতিনিধিদেরও কারাগারে যেতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য নিয়ে এবার এ ধরনের অপকর্ম এবং অর্থ নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলবে তারা গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবার যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। মুখ চেনা লোকেরা নয়, যারা সাহায্য পাওয়ার যোগ্য শুধু তারাই পাবে। গরিব মানুষকে দুর্ভোগে মধ্যে ফেলে কোনো অনিয়ম করলে কঠোর শাস্তি অনিবার্য।’
রোববার দ্বিতীয় দফায় করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সাময়িক অসুবিধা লাঘবের জন্য গত বছরের মতো এ বছরও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৩৫ লাখ দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, গৃহকর্মী, পরিবহন শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নিম্ন আয়ের পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৮০ কোটি টাকা।
অতিদরিদ্র, কর্মহীন, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী যেন এই কার্যক্রমের আওতায় আসে সে লক্ষ্যে বরাদ্দের ক্ষেত্রে দুর্যোগপ্রবণ, অতিদরিদ্র এলাকা এবং জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকৃত দরিদ্র ব্যক্তি চিহ্নিত করা হয়েছে, যেন কেবল প্রকৃত অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছেই সহায়তা পৌঁছায়।