বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দূরপাল্লার বাস ছাড়ার সময় আসেনি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  •    
  • ৩ মে, ২০২১ ১২:৫৭

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘রাজধানীর মধ্যে গণপরিবহন চলতে পারে। কিন্তু জেলা থেকে জেলায় গণপরিবহন চলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের সুপারিশে দেশে লকডাউন চলছে। এপ্রিল মাসে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি থাকলেও এখন কিছুটা কমে আসছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আরও কিছুদিন গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।’

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উপলক্ষে সারা দেশে বাসসহ গণপরিবহন চালুর দাবি উঠলেও দূরপাল্লার বাস ছাড়ার সময় এখনও আসেনি। তবে রাজধানীর ভেতরে গণপরিবহন চালু হতে পারে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে সোমবার দুটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, ‘রাজধানীর মধ্যে গণপরিবহন চলতে পারে। কিন্তু জেলা থেকে জেলায় গণপরিবহন চলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

‘স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের সুপারিশে দেশে লকডাউন চলছে। এপ্রিল মাসে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি থাকলেও এখন কিছুটা কমে আসছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আরও কিছুদিন গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।’

দেশব্যাপী বাসসহ গণপরিবহন চালুর দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভের পরের দিনই এমন পরিকল্পনার কথা জানালেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান।

পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালু করতে রোববার ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ হয়। মঙ্গলবারের মধ্যে এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করছেন শ্রমিকরা। এর মধ্যে গণপরিবহন চালু না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারির কথা জানিয়েছেন শ্রমিকনেতারা।

পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভে তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো:

০১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।

০২. সড়ক পরিবহনশ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে।

০৩. সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহনশ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএসের চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।

শ্রমিকরা বলছেন, করোনা মহামারিতে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে দেশে দোকানপাট, অফিস, কারখানাসহ সবই সচল। চলছে না শুধু গণপরিবহন। আর এতে এই খাতে জড়িত ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘সরকার গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে বারবার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু চালু হয়নি। আমাদের এখন না খেয়ে মরার অবস্থা। আমাদের শ্রমিকরা গত ২০-২৫ দিন ধরে অনাহারে-অর্ধাহারে আছে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করব, গণপরিবহন চালু করে দিন। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালাব।’

গণপরিহন চালুর দাবিতে ৪ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

গত ২৪ এপ্রিল এক মতবিনিময় সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ‌‌‌‌‌জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্ত সাপেক্ষে সরকার গণপরিবহন চালুর সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে।

মন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর এত দিন চুপ ছিলেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। কিন্তু ২৮ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ আবার বাড়িয়ে গণপরিবহনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপরই পরিবহন চালুর দাবি জানাতে শুরু করে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো।

ডিএনসিসি হাসপাতাল প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম জানান, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড -১৯ হাসপাতালে কোনো অ্যাম্বুলেন্স ছিল না। এখন অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়ি দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই হাসপাতাল ছাড়াও ঢাকার মধ্যে করোনা বিশেষায়িত আরও কয়েকটি হাসপাতাল চালু করেছি। তার মধ্যে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে। ওই হাসপতালেও মানসম্মত আইসিইউ-এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ১৫০ শয্যা হাসপাতালে কাল পর্যন্ত করোনা রোগী আসনি। আমি বলব, একটি হাসপাতালে চাপ তৈরি না করে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে সেবা নিতে আসতে পারেন।’

ডিএনসিসি হাসপাতালকে অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি দেয়া হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সৌজন্যে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন, প্রধান নির্বাহী সেলিম রেজাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরো খবর