জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার আদেশ দেবে হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য দিন রাখেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও অরবিন্দ কুমার রায়।
জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া লকডাউন দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রোববার রিটটি শুনানির জন্য তালিকায় আসে। প্রথমে আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। পরে আইনজীবী এসে শুনানির জন্য উপস্থাপন করলে আদালত মঙ্গলবার আদেশের জন্য রেখে দেয়।
ইউনুছ আলী আকন্দ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া লকডাউন ঘোষণা করে জনগণের চলাফেরার অধিকার, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার এবং পেশাগত অধিকার তথা সংবিধানের ৩১, ৩৬ ও ৪০ ধারার পরিপন্থি কাজ করেছে সরকার। এ কারণে লকডাউন খুলে দিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেছি।’
দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ রোধে গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। শুরুতে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হলেও পরে মহানগরগুলোতে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়।
শেষ দিকে এসে সময় বেঁধে দিয়ে দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত আসে। পরে সরকার আরও দুই দিনের জন্য বিধিনিষেধের সময় বাড়ায়।
কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল কঠোর বিধিনিষেধসহ লকডাউন আরোপ করা হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ায় সরকার।
কঠোর লকডাউন নিশ্চিতে আরোপ করা হয় ১৩ দফা বিধিনিষেধ। এর মধ্যে শপিং মল, দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও মানুষের জীবন-জীবিকা বিবেচনায় লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
চলমান লকডাউনের মধ্যে ২৫ এপ্রিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিং মল আরও বেশি সময় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে লকডাউন বাড়ানো হয় আরও এক সপ্তাহ, যা শেষ হবে ৫ মে।