বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পরিবহনশ্রমিকরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন তারা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালুর ব্যাপারে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করছেন শ্রমিকরা। এর মধ্যে গণপরিবহন চালু না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারির কথা জানিয়েছেন শ্রমিকনেতারা।
তিন দফা দাবিতে দুপুর ১২টার দিকে গাবতলী, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, মহাখালীতে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।
পরিবহনশ্রমিকদের তিন দফা হলো-
০১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
০২. সড়ক পরিবহনশ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে।
০৩. সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহনশ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএসের চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
শ্রমিকরা বলছেন, করোনা মহামারিতে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে দেশে দোকানপাট, অফিস, কারখানাসহ সবই সচল। চলছে না শুধু গণপরিবহন। আর এতে এই খাতে জড়িত ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
গণপরিবহন চালুর দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘সরকার গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে বারবার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু চালু হয়নি। আমাদের এখন না খেয়ে মরার অবস্থা। আমাদের শ্রমিকরা গত ২০-২৫ দিন ধরে অনাহারে-অর্ধাহারে আছে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করব, গণপরিবহন চালু করে দিন। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালাব।’
গণপরিহন চালুর দাবিতে ৪ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
গত ২৪ এপ্রিল এক মতবিনিময় সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্ত সাপেক্ষে সরকার গণপরিবহন চালুর সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে।
মন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর এত দিন চুপ ছিলেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। কিন্তু ২৮ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ আবার বাড়িয়ে গণপরিবহনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপরই পরিবহন চালুর দাবি জানাতে শুরু করে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো।