বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হেফাজত নেতা জুনায়েদ কাসেমী গ্রেপ্তার

  •    
  • ১ মে, ২০২১ ১৫:০৮

সিআইডির কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের সহিংসতার ঘটনায় তিনটি মামলার আসামি জুনায়েদ কাসেমী। তার বিরুদ্ধে সহিংসতায় ইন্ধন দেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা নিয়ে আসা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা জুনায়েদ কাসেমীকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

সিআইডি শনিবার বেলা ২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জিসানুল হক নিউজবাংলাকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিআইডির কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের সহিংসহতার ঘটনায় তিনটি মামলার আসামি জুনায়েদ কাসেমী। তার বিরুদ্ধে সহিংসতায় ইন্ধন দেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা নিয়ে আসা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় জেলার বিভিন্ন থানায় মোট ৫৬টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইলে ২টি ও আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা হয়েছে।

মামলাগুলোয় ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৩০-৩৫ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

যার মধ্যে তিনটি মামলায় জুনায়েদ কাসেমীকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে সিআইডি।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসা থেকে কয়েক হাজার ছাত্রের মিছিল বের হয়। তারা শহরের কেন্দ্রস্থল বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করে আগুন দেয়। পাশাপাশি তারা আগুন দেয় শহরের রেলস্টেশন, আনসার ক্যাম্প, মৎস্য অধিদপ্তরে।

হামলা হয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও। এ সময় পুলিশ গুলি চালালে এক ব্যক্তি নিহত হন।

পরদিন মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশের সঙ্গে মাদ্রাসাছাত্রদের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান পাঁচজন।

নিহত ব্যক্তিদের নিজেদের কর্মী দাবি করে প্রতিবাদে ২৮ মার্চ হরতাল ডাকে হেফাজত। হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলে ব্যাপক তাণ্ডব। বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরাল ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সবগুলো স্থাপনায় ভাঙচুরের পাশাপাশি ধরিয়ে দেয়া হয় আগুন।

হামলা চলে পৌরসভা কার্যালয়, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়, শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, গণগ্রন্থাগার, সংগীতজ্ঞ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিবিজড়িত ‘সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন’, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের অফিস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি এবং সরাইলের খাটিহাতা হাইওয়ে থানায়।

এ বিভাগের আরো খবর